ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্ত্রীসহ মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার রহস্য উদঘাটন, যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর | প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) হত্যার ঘটনায় পুলিশ মোরসালিন (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মোরসালিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন এবং হত্যার কারণও জানা গেছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক মোরসালিন তারাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি তিনি টাইলসমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মোরসালিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নেমে একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। কুড়াল উদ্ধারে অভিযান চলছে।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন, মোরসালিনের আট হাজার টাকার মতো ঋণ ছিল। ওই ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে তিনি যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে টাকা লুটের পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দুইদিন আগে মোরসালিন ওই বাড়িতে টাইলসের কাজ করেছিলেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ওই বাড়িতে ঢুকে সঙ্গে নিয়ে আসা কুড়াল দিয়ে প্রথমে সুবর্ণা ও পরে যোগেশ চন্দ্র রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে বাড়িতে থাকা দা দিয়ে আলমারির তালা ভাঙেন। তবে সেখানে কোনো টাকা পাননি বলে মোরসালিন পুলিশকে জানিয়েছে। এরপর দেয়াল টপকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং যাওয়ার সময় পুকুরে কুড়াল ফেলে দেন।

স্ত্রীসহ মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার রহস্য উদঘাটন, যুবক আটক

এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর রহিমাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যোগেশ চন্দ্র রায় শিক্ষক ছিলেন। ২০১৭ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যান। তার দুই ছেলে। বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় জয়পুরহাটে এবং ছোট ছেলে রাজেশ খান্না চন্দ্র রায় ঢাকায় পুলিশে চাকরি করেন। গ্রামের বাড়িতে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন।

গত রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢোকেন। বাড়ির প্রধান ফটকের চাবি পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে তারা ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জিতু কবীর/কেএইচকে/এমএস