ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটে ৪২২ চোরাই মোবাইল জব্দ, চক্রের মূল হোতাসহ আটক ৪

জেলা প্রতিনিধি | সিলেট | প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সিলেটে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪২২টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব ফোন উদ্ধার করা হয়। এ সময় চোরাই মোবাইল বেচাকেনা চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস।

আটকরা হলেন, চক্রের মূলহোতা দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জৈনপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুস শহিদ, তার ভাই মো. আইয়ুব আলী, ভাতিজা আকরাম আলী (২১) ও মোমিনখলা এলাকার মো. সুজ্জাত (২৭)। অভিযানকালে আটকদের কাছ থেকে মোবাইল আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম, পেনড্রাইভ ও ডিএসএলআর ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে।

কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসএমপির ডিবি (দক্ষিণ) ইউনিটের একটি বিশেষ দল দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সুজ্জাতকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৩৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে শিববাড়ি জৈনপুর এলাকায় আব্দুস শহিদের বাড়িতে ভোর চারটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তার বসত ঘরের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ২৮টি মোবাইল ফোন ও মোবাইল আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে আব্দুস শহিদ ও তার ভাতিজা আকরাম আলীকে আটক করা হয়।

সিলেটে ৪২২ চোরাই মোবাইল জব্দ, চক্রের মূল হোতাসহ আটক ৪

কমিশনার আরও বলেন, আব্দুস শহিদকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে নগরীর সিটি হার্ট শপিং সেন্টারে তার ভাই মো. আইয়ুব আলীর মালিকানাধীন তোহা টেলিকম থেকে ২০৪টি ও করিম উল্লাহ মার্কেটের তৃতীয় তলার স্মার্ট গ্যালারি নামে একটি দোকান থেকে ১৫৪টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আব্দুস শহিদের ভাই মো. আইয়ুব আলীকেও আটক করা হয়েছে।

এসএমপি কমিশনার আরও বলেন, উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন রয়েছে। যেগুলোর অনেকগুলোই আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল।

আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন সংগ্রহ করে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনরায় বিক্রি করছিল। এসব চোরাই মোবাইল দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো।

তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর প্রকৃত মালিকদের শনাক্ত করতে আইএমইআই নম্বর যাচাইসহ প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং চোরাই মোবাইল ফোন চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।

আহমেদ জামিল/কেএইচকে/এএসএম