ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পটুয়াখালী থেকে বিপন্ন প্রজাতির ভোদর উদ্ধার

উপজেলা প্রতিনিধি | কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুরে একটি বিপন্ন প্রজাতির ভোদর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ ও অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর সদস্যরা। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিপুর থানার মনোহরপুর গ্রামের কবির হাওলাদারের বাড়ি থেকে ভোদরটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত প্রাণীটি স্থানীয়ভাবে ‘উদবিড়াল’ নামে পরিচিত, যা বাংলাদেশে বিপন্ন বন্যপ্রাণীর তালিকাভুক্ত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন ধরে কবির হাওলাদার ভোদরটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নিজ বাড়িতে লালন-পালন করে আসছিলেন।

কবির হাওলাদার বলেন, পাশের একটি বাড়ির পুকুরে মাছ ধরার সময় ভোদরটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয়রা সেটিকে পিটিয়ে আহত করলে তিনি প্রাণীটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন।

তবে বন্যপ্রাণী লালন-পালন করা যে শাস্তিযোগ্য অপরাধ তা তিনি জানতেন না বলে দাবি করেন।

বনবিভাগ মহিপুর সদর বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ঝিলন মিয়া বলেন, উদ্ধারকৃত ভোদরটি একটি সংরক্ষিত ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী। আইন অনুযায়ী বন্যপ্রাণী আটক বা লালন-পালন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রাণীটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিবেশ কর্মী কেএম বাচ্চু বলেন, ভোদর আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী। অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে মানুষ এমন প্রাণী আটকে রাখছে বা নির্যাতন করছে, যা দুঃখজনক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।

অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সদস্য বায়েজিদ মুন্সি বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোদরটি উদ্ধার করি। যথাযথ চিকিৎসা শেষে এটিকে নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে বলে আশা করছি।

পর্যটন ও পরিবেশপ্রেমী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, উপকূলীয় এই অঞ্চলে বিভিন্ন সময় বন্যপ্রাণী ও ডলফিনসহ নানা প্রাণী আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন ও সামাজিক বনাঞ্চল কাছাকাছি হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে পশুপাখির ক্ষতির ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য একটি জরুরি হটলাইন নম্বর ও উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান তিনি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত ভোদরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপদ স্থানে পাঠানো হবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এনএইচআর/এমএস