শ্যামানন্দের নড়াইলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ঝিনাইদহের কাস্টসাগর রাধামদন গোপাল মঠের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস বাবাজীর গ্রামের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার মুশুড়ী গ্রামে চলছে শোকের মাতম। অসুস্থ্য মাকে এখনও ছেলে হত্যার খবর জানানো হয়নি।
নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ যেন ভারী হয়ে উঠেছে। অনেকেই শোকে মুর্ছা যাচ্ছেন।
নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের মুশুড়ি গ্রামে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে আশেপাশের এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন। বাড়িতে চলছে আহাজারি।
জানা গেছে, নিহত শ্যামানন্দ দাস ওই গ্রামের কিরন সরকারের ছোট ছেলে। বাবা মায়ের দেয়া নাম প্রদ্যোৎ সরকার। দুই বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট প্রদ্যোৎ সরকার ধর্মীয় শিক্ষা-দীক্ষার জন্য ছোটবেলা থেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন।
এরপর বিভিন্ন স্থানে সেবায়েতের দায়িত্ব পালন শেষে তিন বছর আগে ঝিনাইদহের কাস্টসাগর রাধামদন গোপাল মঠের দায়িত্ব নেন। অবিবাহিত শ্যামানন্দ দাস মন্দিরের সেবার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেন। সময় পেলে মাঝে মধ্যে তিনি বাড়িতে নড়াইলের বাড়িতে আসতেন। বাড়িতে এসে পরবারের সদস্যদের এবং হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাঝে ধর্মীয় বিষয়য়াদি নিয়ে আলোচনা করতেন। 
নিহতের ভাই বড় ভাই সুধাংশু সরকার বলেন. `দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ধর্মজাযকদের হত্যা করা হচ্ছে। পূর্বে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার হলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে`। ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
হাফিজুল নিলু/এআরএ/এমএস