ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মুরগি পালন করে রবিউল এখন স্বাবলম্বী

প্রকাশিত: ০৫:৫০ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী সরদার পাড়া গ্রামের হাজি নকিম উদ্দিন পোল্ট্রি খামারের সত্ত্বাধিকারী এসএম রবিউল ইসলাম সোনালী জাতের মুরগি পালন এখন একজন সফল ও লাভবান খামারি।

রবিউল ইসলাম জানান, যুব উন্নয়ন থেকে পোল্ট্রি, গবাদি পশু ও মাছ চাষের উপর তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে বসত বাড়িতেই ২০০০ সালে লেয়ার জাতের ২৫০টি মুরগি পালন শুরু করি। বর্তমানে খামারে ১৯ হাজার মুরগি রয়েছে। এর মধ্যে সাদা লেয়ার মুরগি ৭ হাজার, লেয়ার মুরগি ৫ হাজার, হ্যাচিং ডিম সোনালী মুরগি ২ হাজার, রোস্ট সোনালী মুরগি ৫ হাজার।

তিনি বলেন, পাবনার ভাই ভাই হ্যাচারির পরামর্শে ডিমের জন্য সোনালী মুরগি পালন করে অধিক মুনাফা পাচ্ছি। বর্তমানে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩’শ সোনালীর ডিম (বাচ্চা ফোটার জন্য প্রস্তুত) ১৫ থেকে ১৬ টাকা পিস দরে বিভিন্ন হ্যাচারির কাছে বিক্রি করছি। ডিম বিক্রির টাকা থেকে যে মুনাফা পেয়েছি তা দিয়ে বেশ কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেছি।

রবিউল আরো বলেন, ইতোমধ্যে এলাকার বেকার যুবকদের জন্য নিজ উদ্যোগে প্রশিক্ষণ চালু করেছি।

তিনি বলেন, মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে পরিবেশ বান্ধব একটি বড় মাপের বায়োগ্যাস প্লান্ট করেছি। এতে নিজের পরিবারের রান্নার কাজ শেষ করে অন্য ৯টি পরিবারে সাপ্লাই দিতে পেরেছি।

চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ঘুরে সোনালী মুরগি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের সোনালী মুরগি চাষ করার আহ্বান জানান।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জামান বলেন, রবিউল ইসলাম সোনালী মুরগি পালন করে এখন ঈশ্বরদীর একজন মডেল খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাজারে অন্য মুরগীর ডিম ৬ থেকে ৭ টাকা পিস দরে বিক্রি হলেও সোনালী মুরগির প্রতিটি ডিম (বাচ্চা ফোটানোর উপযোগী) ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এতে তিনি অধিক মুনাফা পাচ্ছেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস