ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

২১ বছরেও পূরণ হয়নি সেতু নির্মাণের দাবি

প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরি ও আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া দুই গ্রামের সংযোগকারী সেতু একটি। কিন্তু, এই সেতুরও আবার করুণ দশা। গত ২১ বছরেও সেতুর কোনো সংস্কার হয়নি। ভাঙ্গা সেতুটি দিয়েই দুই গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

জানা গেছে, কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরি গ্রামের জমাদ্দারহাট খালের ওপর ১৯৮৪-৮৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) একটি লোহার সেতু (আয়রন ব্রিজ) নির্মাণ করে। কিন্তু, নির্মাণের আট বছর পর ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে সেতুর উত্তর অংশ ভেঙে হেলে পড়ে এবং দেবে যায়। ফলে দক্ষিণ চেঁচরি ও আমুয়া ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সেই থেকে এলাকাবাসী ভাঙ্গা আয়রন ব্রিজটি সংস্কার অথবা একটি পাকা ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। সেতু ভেঙে যাওয়ার পর একুশ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত এলজিইডি বিভাগ নতুন সেতু নির্মাণ অথবা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই ব্রিজটিই হচ্ছে দক্ষিণ চেঁচরি এবং বাঁশবুনিয়া গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। নিরুপায় হয়ে স্থানীয়রা বাঁশ ও গাছ দিয়ে ব্রিজটি সংস্কার করে কোনো রকম চলাচলের উপযোগী করে। দুই গ্রামের মানুষ চাঁদা তুলে বছরে একবার কোনো বছর দুইবার ব্রিজ সংস্কার করে সাধারণ মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করছেন।

দক্ষিণ চেঁচরি গ্রামের জমাদ্দারহাট ব্রিটিশ আমল থেকেই ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এ ব্যবসা কেন্দ্রে বাঁশবুনিয়া গ্রামের মানুষ সেতু পার হয়ে পণ্য কেনা-বেচা করতে আসেন। খালের দুই পাড়ে রয়েছে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে। এ সেতু দিয়ে দক্ষিণ চেঁচরি গ্রামের মানুষ বাঁশবুনিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর এবং উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসীদের শিক্ষা, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডসহ নিত্যদিনের কাজ সম্পাদন করতে হচ্ছে।

চেঁচরি গ্রামের আ.সোবাহান বলেন `রেডিও-টেলিভিশনে মন্ত্রীদের মুখে দেশের অনেক উন্নয়নের কথা শুনি। অথচ আমাদের এলাকায় কোনো উন্নয়ন নেই। ২১ বছর ধরে জমাদ্দারহাট খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু, আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে না। চেয়ারম্যান মেম্বাররা শুধু বলেন চেষ্টা করতেছি, আর কিছু দিন অপেক্ষা করেন।`

চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, শুধু জমাদ্দারহাট সেতু নয় আমার ইউনিয়নের একাধিক আয়রন সেতু চলাচলের অনুপযোগী।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাহামুদ আল ফারুক বলেন, উপজেলায় অসংখ্য আয়রন সেতু ভাঙা রয়েছে। তহবিল প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব অনুযায়ী মেরামত করা হবে।

এসএস/এমএএস/আরআইপি