ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিরিয়াল কিলার রসু খা’র ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৫

চাঞ্চল্যকর সিরিয়াল কিলার রসু খাকে চাঁদপুরের আদালত হত্যা মামলায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। বুধবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুনাভ চক্রবর্তী এ ঘোষণা দেন।

এদিকে রায়ের সময় আদালতের কাঠগড়ায় রসু খাকে স্বাভাবিক দেখা গেছে। রায়ের পর পরই রসু খা`কে পুলিশি পাহারায় জেল খানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রসু খা স্বীকারোক্তিতে ১১ নারীকে হত্যা করেছে। তারা সবাই ঢাকার সাভার ও টঙ্গি এলাকার গার্মেন্টস কর্মী।

রায়ের সময় আদালত প্রাঙ্গণে উৎসক জনতার ভিড় লক্ষ করা যায়। সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট সায়েদুল ইসলাম বাবু জাগো নিউজকে জানান, রসু খাঁ একজন কুখ্যাত ব্যক্তি বলে আদলত তাকে হত্যা মামলায় ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন।

তিনি এ আদেশে আইনজীবীরা ও চাঁদপুরবাসী সন্তুষ্ট বলে জানান। একই সাথে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করেছেন।

অন্যদিকে বাদী পক্ষের সরকার নিয়োগকৃত আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা এ রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তারা সরকারের সহায়তা পেলে উচ্চ আদালতে যাবেন।


প্রসঙ্গত, চাঁদপুর সদরের মদনা গ্রামের ছিচকে চোর রসু খা ভালোবাসায় পরাস্ত হয়ে এক সময় সিরিয়াল কিলারে পরিনত হন। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তার লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারী হত্যার কথা। টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। কিন্তু, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ধরা পরার পর তার সেই আশা গুড়েবালিতে পরিনত হয়।

রসু খা যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল গার্মেন্টস কর্মী। ভালোবাসার অভিনয় করে নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের ঢাকার সাভার এলাকা থেকে চাঁদপুরে এনে প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে রসু খা ওসব মেয়েদের ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। হত্যার শিকার ওইসব হতভাগ্য মেয়েদের অধিকাংশেরই সঠিক নাম ঠিকানা বা পরিচয় আজও জানা যায়নি।

রসু খাকে গ্রেফতারের পর চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থানায় মোট ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এর ভেতর ১টি হত্যা মামলা ও অপরগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে। তার মামলাগুলো বিচারের জন্য চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে একটি মামলার রায়ে রসু খালাস পেয়ে যায়। এ অবস্থায় তার বাদবাকি মামলাগুলো চাঁদপুর আদালতে পুণরায় ফেরত পাঠিয়ে দেয় ট্রাইব্যুনাল। বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১টি মামলার বিচার শেষে বুধবার রায় হবে। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে ৮টি মামলার বিচার চলছে।

এমএএ/আরআইপি