জলাবদ্ধতা নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নাছির উদ্দিন
জলাবদ্ধতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় চট্টগ্রামের গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন চট্টগ্রামের নতুন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। রোববার নগর মহিলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
নগরীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অতিরঞ্জিত খবর প্রচার করছে বলে অভিযোগ করে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে নাছির বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের একটা কথা বলতে চাই পত্রপত্রিকায় জলাবদ্ধতাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এটার শিকার আমরাও। আপনারা ঢাকার দিকে তাকান। শুধু ঢাকা কেন, পৃথিবীর অন্যান্য শহরের কথা একবার ভাবুন।
জলাবদ্ধতাকে চট্টগ্রামের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়। অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু এসব খবর সেখানকার জাতীয় কোন গণমাধ্যমে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করা হয় না।
তিনি বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতার খবরও জাতীয় পত্রিকায় সেভাবে আসে না। শুধু চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা হলেই সেটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়। চট্টগ্রামের ব্যাপারে জাতীয় পত্রিকাগুলো এটা কেন করে আমি জানি না।
মেয়র বলেন, আমি শপথ নিলেও এখনও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেইনি। এ জন্য জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় কোন পদক্ষেপ নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমরা নালা-নর্দমা যদি পরিস্কার করতে পারি, ভরাট থেকে রক্ষা করতে পারি তাহলে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
অনুষ্ঠানে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়রকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন কোন কঠিন ব্যাপার নয়। বন্দর, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিটি কর্পোরেশন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। কার্যকর উদ্যোগ নিলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। এখানে জোয়ার-ভাটা আছে। সে জন্য কিছুটা সমস্যা হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসন, স্কুল তৈরি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যে কোন কাজে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়রকে সর্বাত্বকভাবে সহযোগিতা করা হবে আশ্বাস দেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
নগর মহিলা লীগের সভানেত্রী বেগম হাসিনা মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাংসদ ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী এবং দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম চেমন আরা তৈয়ব।
এসকেডি/আরএস/আরআইপি