ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্ত্রী নির্যাতন মামলায় পুলিশের এসআই কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৭

শেরপুরে গৃহবধূ আশরাফুন্নাহার লোপাকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুল ইসলাম সুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারিক হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে জামিনের আবেদন জানালে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে বুধবার হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন আদেশের শেষ দিন উপ-পরিদর্শক শাহিন মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।

ওই মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে নতুনভাবে জামিনের আবেদন করতে হয়। জামিন বাতিলের পরপরই আদালত প্রাঙ্গণে বাদীপক্ষের বিক্ষুব্ধ আত্মীয়-স্বজন ও উৎসুক জনতার ভিড় বেড়ে গেলে অতিরিক্ত পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় উপ-পরিদর্শক শাহিনকে দ্রুত কারাগারে পাঠানো হয়।

শুনানিকালে আসামি পক্ষে মোহাম্মদ সুরুজ্জামান ও মুহাম্মদ আখতারুজ্জামানসহ তিনজন আইনজীবী অংশ নিলেও বাদীপক্ষে জেলা বারের সভাপতি একেএম মোসাদ্দেক ফেরদৌসী, সাবেক সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র হোড় ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আধার, মানবাধিকার আইনজীবী শক্তিপদ পালসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।

এদিকে উপ-পরিদর্শক শাহিনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ, মানবাধিকার ও নারী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল। তারা ওই ঘটনায় এসআই শাহিনসহ তার সহযোগীদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে জনউদ্যোগ শেরপুরের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর মামলায় প্রধান আসামি পুলিশের এসআই শাহিনকে কারাগারে পাঠানোর মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচারের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, শেরপুরের দমদমা মহল্লার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের মেয়ের লোপার সঙ্গে উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম শাহীনের বিয়ে হয়।

গত ২২ মে রাতে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে লোপার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় গত ৫ জুন উপ-পরিদর্শক শাহিনসহ পরিবারের আরও চার সদস্যকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।

হাকিম বাবুল/এএম/জেআইএম