হ্যান্ডকাপসহ আসামির পলায়ন
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় সুমন মুন্সি নামের এক হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি পালিয়ে গেছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও সুমনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বনগ্রামের মো. মুজিবুর রহমান সেখ হত্যা মামলা সুমনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। বর্তমান মামলাটি বিচারাধীন। এছাড়া সুমন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি বন গ্রামের রেজাউল করিম মুন্সির ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুরুলিয়া এলাকার থেকে গ্রেফতার সুমন মুন্সিকে এসআই আতিক মোটরসাইকেলে করে কালিয়া থানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।
চাঁচুড়ী বাজার সংলগ্ন মিল্টন মোল্যার মুদি দোকানের কাছে পৌঁছালে নড়াইলগামী বাস অতিক্রম করার সময় সুমন মোটরসাইকেল থেকে লাফ দেয়। এ সময় পুলিশকে শারীরিকভাবে আঘাত করে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায় সুমন।
প্রত্যক্ষদর্শী আ. হাই মোল্যা বলেন, আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলের পাশে বসেছিলাম। এমন সময় মোটরসাইকেলের পেছনে বসা এক ব্যক্তি পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ হাত উঁচু করে দৌড় দেন। পুলিশ তার পেছনে পেছনে ধর ধর করে দৌড়ালেও তাকে ধরতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালে মো. মুজিবুর রহমান সেখকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে সুমন মুন্সিসহ কয়েকজন।
২০০৯ সালের ২৯ জুলাই যশোর কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় সুমন মুন্সি ও তার বাবাসহ ১০ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় ৬ মাস আগে আদালত সুমনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোওয়ানা জারি করলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সুমনকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে কালিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান বলেন, সুমনকে গ্রেফতারের জন্য তাড়া করেছিল পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতার করতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায় সুমন।
হাফিজুল নিলু/এএম/আরআইপি