স্ত্রী নির্যাতন মামলায় এসআই শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
শেরপুরে গৃহবধূ আশরাফুন্নাহার লোপাকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে মামলার অপর ৫ সহযোগী আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার কথা উল্লেখ করে তাদের অব্যাহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীবরদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আকতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়টি রোববার বিকেলে আদালত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়।
অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক শাহিন বর্তমানে এ মামলায় জেলা কারাগারে রয়েছেন। আগামী ২৫ জুলাই মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে, প্রধান আসামি ব্যতীত সহযোগী অপর ৫ আসামিকে বাদ দেয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতা লোপার পরিবার।
মামলার বাদী নির্যাতিতা লোপার মা স্কুলশিক্ষক সেলিনা আক্তার লাকী অভিযোগ করে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রথম থেকেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। তদন্তকালে আদালতে লোপার জবানবন্দি নেয়া হয়নি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লোপার চিকিৎসা সংক্রান্ত সনদপত্রও চাওয়া হয়নি।
এছাড়া অভিযোগপত্র দাখিলের আগে তাকে মামলার ফলাফলও জানানো হয়নি। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার ওই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আংশিক নারাজি দাখিল করবেন বলে জানান।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক বদিউজ্জামান বলেন, অভিযোগপত্র ১০ জুন হাতে পেলেও তা নথিতে শামিল হয়নি। এখন অভিযোগপত্র মূল নথিতে শামিল হয়েছে এবং তা পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ধার্য তারিখে বদলি হবে। আগামী ২৫ জুলাই মামলাটির পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেরপুর শহরের দমদমা মহল্লার আশরাফুন্নাহার লোপার সঙ্গে পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম সুজনের বিয়ে হয়। শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহিনুল ইসলাম সুজন বর্তমানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটে কর্মরত।
গত ২২ মে রাতে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূ লোপার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়৬ স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় ৫ জুন উপ-পরিদর্শক শাহিনসহ পরিবারের আরও ৪ সদস্যকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।
হাকিম বাবুল/এএম/পিআর