আগুন নিভলেও ধসে পড়লো টেক্সটাইল মিলটি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ডিগনিটি টেক্সটাইল মিলের ৭তলা ভবনটির প্রায় পুরোটাই ধসে পড়েছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলেও তা নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সময় লাগে প্রায় ২১ ঘণ্টা। ঢাকা, জয়দেবপুর, শ্রীপুর, ঢাকা সদর দফতর, এবং ময়মনসিংহের ভালুকা স্টেশনের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে ২১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সকাল ১১টার দিকে আগুন নেভানোর পর থেকে কারখানার ড্যাম্পিং শুরু হয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন জাগাে নিউজকে জানান, স্টিল দিয়ে নির্মিত এই ধরনের বহুতল ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নেই। আর এ ভবনটিতে পানি দেয়ার মতো পর্যাপ্ত জানালা বা স্থান নেই। অপর দিকে ভবনটি স্টিলের হওয়ার কারণে প্রচণ্ড তাপে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছ থেকে পানি দিতে পারেনি।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এবং ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ রোববার রাতেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সকাল ১০টার দিকেও ওই কারখানার দু`তলায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৭তলা ভবনটির স্টিলগুলো আগুনে গলে থুবরে পড়ছে নীচের দিকে। ফলে সাততলা ভবনটি এখন তিন তলা পর্যন্ত উঁচু দেখা যাচ্ছে।
আগুনের প্রচণ্ড উত্তাপে ভবনের স্টিলের ফ্রেম অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আগেই আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়। অগ্নিকাণ্ডের ফলে ও হতাহতের বিষয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কেউ কোনো ধারণা দিতে পারেননি।
কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নাজমুন্নাহার জাগো নিউজকে বলেন, আগুনে তৈরি পোশাক, মেশিনপত্র, কাঁচামালসহ বিভিন্ন মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুর ২টার দিকে স্টিলের কাঠামোর উপর নির্মিত বিশাল আকৃতির সাত তলা কারখানা ভবনের তৃতীয় তলার গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভবনের পঞ্চম তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
মো.আমিনুল ইসলাম/এমজেড/পিআর