ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বগুড়ায় আ.লীগ নেতার নেতৃত্বে ইউএনও অফিস ভাঙচুর

প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২৮ জুন ২০১৫

গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পে ডিও দেয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।  এসময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এই হামলার ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা আক্তার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শাখারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিককে দায়ি করেছেন। একই সাথে তিনি বলেছেন, যে চেয়ারম্যানের অন্যায় আবদার মেনে না নেয়ার কারণে এই অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়।  পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোরশেদ আলম, বগুড়া পুলিশের এএসপি নাজির আহম্মেদ ও বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্প’র (কাবিখা) সভাপতি।  এই প্রকল্পে একটি রাস্তা সংস্কার ও সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আজগর হেনা ৮ মে:টন চালের একটি প্রকল্প দেন।  এই প্রকল্পে নামমাত্র কিছু কাজ করে আব্দুল মান্নান ২ মে:টন চালের ডিও লেটার উত্তোলন করেন।  বাকি ৬ মে:টনের ডিও তোলার জন্য তিনি চেষ্টা করলে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু খান। তিনি দাবি করেন, যে কাজ হয়েছে তার জন্য বাকি অর্থ তার নিজের প্রাপ্য।

এদিকে কাউন্সিলর বাচ্চু পরবর্তী ডিও লেটার তার নামে বরাদ্দের জন্য পার্শ্ববর্তী শাখারিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এবং বগুড়া সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিকের শরণাপন্ন হন।  আর শফিক সকালে প্রথমে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা নায়েব আলীর কাছে ডিও চেয়ে ব্যর্থ হন।  এরপর তিনি বেলা পৌনে ৩টার দিকে গম বরাদ্দের বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহানের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ইউএনও অফিসের একটি টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।

ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহানা আক্তার জানান, শুরু থেকেই আ.লীগ নেতা শফিক ৬ টন গমের বরাদ্দ পত্র বাচ্চুকে দেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে।  কিন্তুু তিনি জানান যে ৮ টন গমের মধ্যে ইতোমধ্যেই ২ টনের একটি ডিও দেওয়া হয়েছে।  কিন্তু আব্দুল মান্নান এখন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজই শুরু করেননি।  কাজেই প্রকল্পের কাজ শেষ না করলে তাকে নতুন করে ডিও দেয়া সম্ভব হবেনা এসব বিষয়ে কথা চলার মধ্যেই সেখানে উপস্থিত শফিকের সমর্থকরা ভাঙচুর শুরু করে।

সদর থানা পুলিশের ওসি আবুল বাশার জানান, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়।  এরপর তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।  এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লিমন বাসার/এমএএস/আরআইপি