ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটে শ্যালক হত্যায় দুলাভাইয়ের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট | প্রকাশিত: ০২:৩৯ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

সিলেটে স্ত্রীর ওপর রাগ করে শ্যালক আল আমিনকে হত্যার ঘটনায় দুলাভাই ফয়সল আহমদ আদালতে দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন বলেন, সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়সল আহমদ। তার বক্তব্যে হত্যাকাণ্ডের পুরো বর্ণনা রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে সব কিছু বলা যাচ্ছে না।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল ফয়সল আহমদের। গত কিছুদিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতেই থাকছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফয়সল ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছেন।

এদিকে জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত ফয়সল আহমদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

গত শনিবার নগরের একটি মাদরাসাছাত্র আল আমিনকে (১৬) অপহরণ করে শহরতলির খাদিম চা-বাগানে নিয়ে হত্যা করেন ফয়সল আহমদ (২৭)। আল আমিন নগরের শেখঘাট ভাঙ্গাটিকরপাড়ার ৩ নম্বর বাসার নুরুল ইসলাম টুটুলের ছেলে। গত রোববার বিকেলে পুলিশ আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিলেটের মোগলাবাজার থানার সিলাম টিকরপাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফয়সলকে।

আল আমিন হত্যা মামলার এজাহারে নুরুল ইসলাম টুটুল উল্লেখ করেন, ফয়সল আহমদ তার মেয়ে আয়েশা আক্তারের স্বামী। ফয়সল ‘খুবই বাজে স্বভাবের লোক’। আয়েশাকে প্রায়ই নির্যাতন করত। গত ২০-২৫ দিন ধরে আয়েশা বাবার বাড়িতে থাকায় ফয়সল নুরুল ইসলাম টুটুলের ছেলে-মেয়েদের ‘হত্যা ও অপহরণের হুমকি’ দিচ্ছিল। শনিবার বেলা ১১টার দিকে টুটুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আল আমিনকে অপহরণ করে ফয়সল।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন