ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সড়কপথ উদ্বোধন মঙ্গলবার

প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৫

সমুদ্র সমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। যা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সড়কপথ। বান্দরবানের থানচি থেকে আলীকদম হয়ে এ পথ চলে গেছে আরেক পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।

আগামী মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থানচি-আলিকদম সড়ক উদ্বোধন করবেন ।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, বান্দরবান জেলা প্রশাসক র্কাযালয়ে ভিডিও কনফারেন্স উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগিডিয়ার জেনারেল নকবি আহম্মদ, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, সড়ক বিভাগের অতরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী আরিফুর রহমানসহ উচ্চপদস্থ র্কমর্কতাবৃন্দ উপস্থতি থাকবেন বলে জানা গেছে।

গত মে মাসে সড়কটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সড়কটির বেশ কিছু অংশের মাটি ভেঙে যাওয়ায় তা আর হয়নি।

নির্মাণ কাজে নিয়োজিত সেনাবহিনীর ১৬ ও ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটলিয়নের (ইসিবি) র্কমর্কতারা জানান, সাঙ্গু নদী ও মাতামুহুরী নদী উপত্যকা বিভাজনকারী চিম্বুক পাহাড় শ্রেণির ডিম পাহাড় এলাকার ওপর দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে পাথুরে পাহাড়ে গায়ে আঁকা বাঁকা ধাপ কেটে ৩৫ কিলোমিটারের সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয় ১২০ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে এ নির্মাণ কাজটি শুরু হয়। শেষ হয় গত এপ্রিলে।

প্রকৌশল বিভাগ ১৯ ইসিবির কর্মকর্তা মেজর মাহাবুবুল হক জানান, আগামী ১৪ জুলাই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে থানচি-আলিকদম সড়ক উদ্বোধন করবেন। এ সড়কের উন্মুক্ত করে দিলে পর্যটন ও স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা থানচির রেমাক্রি জলপ্রপাত, তিন্দুর পাথুরে নদীপথ, নাফা খুম, শংখ নদীর উৎসমুখ আন্ধার মানিক, গহীন রিজার্ভ ফরেস্ট ভ্রমণ করতেন তারা এখন থানচি-আলিকদম সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবুজে ঘেরা সারি সারি পাহাড় দর্শন করে সরাসরি চলে যেতে পারবেন আরেক পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।

থানচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য হ্লা চিং মার্মা বলেন, পাহাড়ের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করল থানচি-আলিকদম সড়ক। আগে স্থল যোগাযোগ না থাকায় বান্দরবান সদর থেকে নদীপথে থানচি যেতে দুই দিন লাগত। এখন পৌনে দুই ঘণ্টায় থানচি, আর পাহাড়ি পথ ধরে আলীকদম যেতে লাগছে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। এছাড়াও থানচি থেকে আলীকদমের দূরত্ব কমিয়ে আনার ফলে এ এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।

সৈকত দাশ/এআরএ/আরআইপি