৯ মাস পর মায়ের দাবি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা!
আত্মহত্যা নয় বরং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে মায়ের এমন অভিযোগে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৯ মাস পর মাগুরায় এক কিশোরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের মেয়ে তাসনিম কলি (১৭) নামে ওই কিশোরী মাগুরা দুধমল্লিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।
সদর থানা পুলিশের এসআই আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে গত বছর ৩ এপ্রিল শহরের কাউন্সিল পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মা-বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময়ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়। সম্প্রতি ওই কিশোরীর মা হোসনে আরা বেগম মাগুরা সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে বুধবার দুপুরে মাগুরা পৌর কবরস্থান থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি চক্র তড়িঘড়ি করে তাকে দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করে।
ওই সময় পরীক্ষায় ফেল করে কলি অত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হলেও পরে দেখা যায় সে এ গ্রেডে এসএসসি পাস করেছে। ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া থাকলেও মরদেহ উদ্ধারের সময় দেখা গেছে চেয়ারের ওপর বসা অবস্থায় তার পা রয়েছে।
এ জন্য ওই ভাড়া বাসার তত্ত্বাবধায়ক আজাদ, সবুজ, বিউটি ও সুফিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা করেন মা হোসনে আরা বেগম। একই সঙ্গে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করেন তিনি।
আরাফাত হোসেন/এএম/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ চেক জালিয়াতি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত বিএনপি নেতা গ্রেফতার
- ২ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়লো বিআইডব্লিউটিএ’র গোডাউন
- ৩ রেললাইনে আগুন দিয়ে ৫ ঘণ্টা অবরোধ বিএনপি নেতাকর্মীদের, চরম দুর্ভোগ
- ৪ স্বামীকে হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেত্রী গ্রেফতার
- ৫ ফিটনেস-অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়া সেন্টমার্টিনে যাবে না জাহাজ