রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী পাঁচন রান্না প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
পাহাড়ে শুরু হয়েছে বৈসাবির আমেজ। নানান আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী এ বৈসাবি উৎসব পালন করছে। আর এই উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’র আয়োজনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি বৈসাবি মেলা।
মেলা উপলক্ষে শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী খাবার পাঁচন রান্না প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন পাহাড়ি নানা গোষ্ঠীর নারীরা। তারা বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে ঐতিহ্যবাহী খাদ্য ‘পাঁচন’ তৈরি করে পরিবেশন করে।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারী শিপা চাকমা বলেন, পাহাড়িদের বিশ্বাস, এ পাঁচন খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া একদিনে সাত পরিবার থেকে এ পাঁচন খেলে সর্বরোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করে সকলে।

মণি ত্রিপুরা বলেন, পাঁচন হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার, এটার সঙ্গে আমাদের সম্প্রদায়ের একটি মিল বন্ধন রয়েছে। পাঁচন রান্না করতে ৪১, ৫১ কিংবা ১০১ পদের নানান জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয়।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বপন কুমার ত্রিপুরা বলেন, পাঁচন হচ্ছে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এ খাবার বছরের প্রথম দিনে পাহাড়ের মানুষ যে বৈসাবি উৎসব পালন করে সে সময়ে অতিথিদের সামনে পরিবেশন করে। ঐতিহ্যবাহী সে সুস্বাদু পাঁচন রান্নার প্রতিযোগিতা আমরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আয়োজন করেছি। এতে বিভিন্ন জাতিসত্তার নারী অংশগ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।
আরএ/আরআইপি