ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চলাচলে পিছিয়ে পড়ছে দুই উপজেলার মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | ফরিদপুর | প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৫ মে ২০১৮

ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথা সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দের মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী দুই উপজেলার শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও এলাকার মানুষকে।

জানা যায়, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়কটি। নগরকান্দা উপজেলা সদর থেকে সালথা উপজেলা সদর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে এলজিইডি। নির্মাণের পর থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ এ সড়কের সংস্কার কাজ না করায় সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কটির নগরকান্দা উপজেলা অংশে রয়েছে ৩ কিলোমিটার এবং সালথা উপজেলা অংশে রয়েছে ১২ কিলোমিটার। নগরকান্দা উপজেলা অংশের বেশিরভাগই খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে সালথা উপজেলা অংশের প্রায় ৫ কিলোমিটার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

Faridpur-Road-2

বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষকে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী নগরকান্দা এম এন একাডেমীর শিক্ষার্থী মাসুম জানায়, সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় কাদার মধ্যে পড়ে জামা কাপড়, বই খাতা ভিজে যায়।

মাসুম জানায়, বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় সড়ক দিয়ে ভ্যান বা অটোও এখন কম চলাচল করে। বেশিরভাগ সময় হেটে স্কুলে যেতে হয়। একারণে সময়মতো স্কুলে যেতে পারি না।

ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী এনজিও কর্মী আয়শা আক্তার জানান, সড়কটি দুই উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই সড়কের বেহাল দশার কারণে ঠিকমতো সবার বাড়িতে যেতে পারি না। ঋণের টাকা আদায়েও সমস্যা হচ্ছে।

সড়কের এ বেহাল দশার কারণে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। প্রতিদিন এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিভিন্ন হাট বাজারে নিতে এ সড়কটিই প্রধান ভরসা।

মাঝারদিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ শেখ জানান, কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে খুব সমস্যা হয়। খানাখন্দের কারণে ভ্যান বা নসিমন যেতে চায় না। আর যদিও যেতে চায় ভাড়া বেশি দিতে হয়। এতে আমাদের লোকসান হয়ে যাচ্ছে।

Faridpur-Road-3

এদিকে বৃষ্টির দিনে খানাখন্দে পা পড়ে ও কাদায় পা পিছলে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গায়ের পোশাক কাদা-পানিতে নষ্ট হচ্ছে। ওই পোশাক পড়েই যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে।

জেলা সদরের চাকরিজীবী সাত্তার হোসেন বলেন, জেলা সদরে চাকরি করার কারণে প্রতিদিনই আমাকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। সড়কে খানাখন্দের কারণে ভ্যান ও অটো কম চলায় অনেক সময় হেটে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে হয়। আবার ফেরার সময় রাত হয়ে যায়। সেই সময়ও বাড়ি ফিরতে অনেক সমস্যা হয়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য প্রধান কার্যালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।

এমএএস/পিআর

আরও পড়ুন