ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবকের ১৪ বছর কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮

শেরপুরে মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সোলায়মান মিয়া (২২) নামে এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারদণ্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে শেরপুর শিশু আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মো. মোসলেহ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সোলায়মান মিয়া নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর রানীগাঁও গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হলেও অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় হয়েছে। ভিকটিম ডাক্তারি পরীক্ষায় রাজি না হওয়ায় আদালতে ধর্ষণের অভিযোগটি বিবেচনায় আসেনি।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে পিপি জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার গড়কান্দা মহিলা মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল রাতে উত্তর রানীগাঁও গ্রামের নিজবাড়িতে পড়াশুনা করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশী সোলায়মান মিয়ার বোন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে পাশের রাস্তায় নিয়ে যান। সে সময় ওই মাদরাসাছাত্রীকে সোলায়মান মিয়া জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৮ মে অপহৃত মাদরাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোলায়মানসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার একমাস ১৯ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার ও সোলায়মানকে আটক করে। পরে নালিতাবাড়ী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল মোকাররম মো. নুরুদ্দিন তিনজনকে অভিযুক্ত করে গত বছরের ১৯ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু আদালত ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় কেবলমাত্র সোলায়মানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। বাদীসহ ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত অপহরণের দায়ে সোলায়মানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান মামলাটি পরিচালনা করেন।

হাকিম বাবুল/আরএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন