ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শেরপুরে জেএমবি কাশেমের ২১ বছর কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি | শেরপুর | প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর বিস্ফোরক মামলার রায়ে নব্য জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবের (২২) ২১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম.এ নূর এ সাজা ঘোষণা করেন। এ মামলার রায় উপলক্ষে আদালত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় জানান, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ধারায় নব্য জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবকে ১৪ বছর এবং একই আইনের ৫ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। উভয় সাজা পর্যায়ক্রমে চলবে। রায়ে একইসঙ্গে উভয় ধারায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত পিপি জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গত দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি। এ জন্য ব্যবসার নামে গুদাম ভাড়ার আড়ালে শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে বিস্ফোরক তৈরির বিপুল রাসায়নিকের মজুদ করেছিল নব্য জেএমবির সদস্যরা।

২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে বিস্ফোরক তৈরির ওই গোডাউনের সন্ধান পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৯ কন্টেইনার ভর্তি ৬০০ লিটারের অধিক রাসায়নিক তরল পদার্থ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, নাইট্রিক এসিড, সালফারিক এসিড, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোমেথিন উদ্ধার করে পুলিশ।

সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষায় এসব রাসায়নিক উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক তৈরির কাজে ব্যবহারের প্রতিবেদন দেয়া হয়। ওই বছরের ৭ অক্টোবর ওই গোডাউনের ভাড়াটে আবুল কাশেম (২২) ও ফয়েজ উদ্দিন (৩৩) এবং মালিক মিনারা বেগমসহ (৩২) তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

তিনি আরও জানান, গত বছরের ২২ অক্টোবরে বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার আসামি আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবকে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফেরার পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিচারিক হাকিমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাব। সে সময় আবুল কাশেম নিজেকে নব্য জেএমবির সদস্য বলে দাবি করেন। একটি ফার্মেসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ ও পরিবারের হাল ধরতে চাইলেও আগ্রহের বশে ইন্টারনেটে জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে বলে আদালতকে জানান মোসাব।

তদন্ত শেষে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর একমাত্র আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই মামলায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আজ ওই মামলার রায় দেয়া হয়।

হাকিম বাবুল/এএম/আরআইপি

আরও পড়ুন