ডাক্তারসহ বেঁচে গেলেন লোহাগড়া হাসপাতালের রোগীরা
এ যাত্রায় বেঁচে গেলের নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীরা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দ্বিতীয় তলার ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন রোগী ডাক্তার ও তাদের স্বজনরা। পুরুষ ওয়ার্ডে এ সময় ২০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এছাড়া ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার চোখের সামনেই পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সবাই। হাসপাতাল ভবনের দ্রুত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ছাদের অধিকাংশ স্থানে ফাটল ধরেছে।

এদিকে ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে নতুন তিনতলা ভবন ও কোয়ার্টার নির্মাণ করা হলেও তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তা চালু হচ্ছে না। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবন হস্তান্তর করা হয়। জনবল কাঠামো অনুমোদন না হওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে নতুন ভবনটি।
কামরুল নামে রোগীর এক আত্মীয় জানান, সোমবার দুপুরে পুরুষ ওয়ার্ডে হঠাৎ করেই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এসময় রোগী ও আত্মীয় স্বজনরা ভয়ে চিৎকার করে ওঠে।

এ ঘটনায় নড়াইলের সিভিল সার্জন ডাঃ আসাদ উজ-জামান মুন্সী বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ ভবনটি সংস্কারের জন্য অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
হাফিজুল নিলু/এমএএস/এমএস