পাটগ্রামের হতদরিদ্র সেই বাবার পাশে ছাত্রসমাজ
চেয়ারম্যানের হুমকিতে মেয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে না পেরে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক দাফনের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন অসহায় বাবাকে। এজন্য ওই চালক তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নেন। পরে তিনি লাশ দাফন না করে তিস্তা নদীতে ফেলে দেন।
এর দুদিন পর তিস্তায় ভেসে উঠে মরদেহ। সেই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী উফারমারা গ্রামের বাড়িতে মরদেহ লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার বুড়িমারী উফারমারা গুচ্ছা গ্রামে ছুটে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

এ সময় তিনি হতভাগা মেয়েটির অসহায় বাবা গোলাম মোস্তফাকে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, তেল, সেমাই, চিনি, লবণ, বেগুন ও অন্যান্য মালমাল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পাটগ্রাম উপজেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি আবু ফয়সাল পারভেজ, পৌর সভাপতি জাহিদ হাসান, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন ইমলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুদ দোহা প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, মানবিকতার কারণে আমি ছুটে এসেছি।ভূমিহীন ওই বাবা কতটা অসহায় হলে মেয়ের মরদেহ গ্রামে আনতে না পেরে অ্যাম্বুলেন্স চালকে ৫ হাজার টাকা দিয়েও মেয়ের লাশ দাফন করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ছাত্রসমাজ সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে।
রবিউল হাসান/এমএএস/পিআর