ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কিস্তি আদায় নয়, ‘খোঁজ নিতে’ বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এনজিও কর্মীরা

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ০৮ জুন ২০২০

করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার জুন পর্যন্ত এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করলেও নীলফামারী পৌরশহরে সেই নির্দেশনা অমান্য করে কিস্তি আদায় করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)। এছাড়াও কিস্তির টাকা তোলার জন্য সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে মাঠকর্মীদের।

এই উপজেলায় প্রায় ৩০-৩৫টির মতো ছোট বড় বিভিন্ন এনজিও চালু আছে।

নীলফামারী পৌরশহরের নিউ বাবুপাড়া মুরগি হাটি এলাকার হায়দার আলী বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে সামান্য রোজগার করি। করোনায় যাত্রী না থাকায় একেবারে রোজগার বন্ধ। আটোরিকশাটি কিনতে আমার স্ত্রীর নামে পপি থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। মাঠকর্মীরা সমস্যার কথা জানলেও বাড়িতে গিয়ে কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে।

একই এলাকার অপর নারী বলেন, বাড়ির কাজের জন্য পপি থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। ওই টাকা দিয়ে ঘর মেরামত করেছি। কিন্তু করোনার কারণে আমার স্বামীর আয় কমে যাওয়ায় অভাবে পড়েছি। এমন অবস্থায় পপির মাঠ কর্মীরা ঋণের কিস্তির টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। আজ সোমবার বাড়িতে এসে তারা টাকা ছাড়া ওঠেনি।

জেলা শহরের ডালপট্টি এলাকায় নৈশ প্রহরীর কাজ করেন মোহাম্মদ আলী। তিনি জানান, স্থানীয় পপি নামের একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা লোন নিয়ে বড় ছেলে মুরগীর ব্যবসা করে। করোনার কারণে হাট বাজারে লোকজন কম থাকায় বেচাকেনা একেবারেই কম। এখন সেই টাকার জন্য কঠিনভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনজিও।

তবে সোমবার (৮ জুন) সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পপির এক মাঠকর্মী জানান, করোনা সংকটে আমাদের সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ সময় তাদের কিস্তি পরিশোধের কথাও বলছি। কেউ কিস্তি দিলে নিচ্ছি। তবে তাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়নি। এই অভিযোগ সত্য নয়।

এ ব্যাপারে পপির এরিয়া ম্যানেজার তন্ময় কুমারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. এলিনা আকতার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর কিস্তি আদায় সরকার বন্ধ ঘোষণা করেছে। এটি বন্ধ থাকবে চলতি জুন মাস পর্যন্ত। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এটিই বহাল থাকবে। উপজেলার সকল এনজিওকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেউ কিস্তি আদায় করলে অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাহিদুল ইসলাস/এফএ/এমকেএইচ