কক্সবাজারে এবার সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শুরু
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অত্যাধুনিক আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এবং এইচডিইউ (হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিট) চালুর পর এবার লিকুইড সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের উত্তর গেটে সোমবার (২২ জুন) প্ল্যান্ট স্থাপনের চূড়ান্ত কাজ শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেশের কোনো জেলা সদর হাসপাতালে এটিই প্রথম সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ প্ল্যান্টের সুবিধা ভোগ করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ত ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে বিস্ফোরক অধিদফতরের ছাড়পত্র ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের ছাড়পত্র চলতি সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি টিম গত ২০ জুন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এসে প্রকল্পের অগ্রগতি ও প্রয়োজনীয়তা পরিদর্শন করে গেছেন। এ ছাড়পত্রটি পেলেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে।
ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ৫৫ লাখ টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ে এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টটি নির্মাণ করছে। প্রকল্পটির অবকাঠামোসহ ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ছাড়পত্রটা পেলেই অক্সিজেন ট্যাংক, জেনারেটর স্থাপনসহ অবশিষ্ট কাজ আগামী ৯ জুলায়ের মধ্যে ১০০ ভাগ শেষ করে দ্রুত চালু করা হবে ইনশাআল্লাহ। এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই প্ল্যান্টটি চালু করা হলে এটি হবে দেশে জেলা সদর হাসপাতালে স্থাপিত প্রথম সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই প্ল্যান্ট।

দাতা সংস্থার পক্ষে কাজের তদারকি করা কক্সবাজার সির্ভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. জামশেদুল হক জানান, অনেক প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি করতে হবে। তাই স্থাপনের কাজটি কখন শেষ হবে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সম্পন্ন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটন নগরী হিসেবে আইসিইউ এবং এইচডিইউ কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’র সহযোগিতায় কক্সবাজারে আইসিইউ-এইচডিইউ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন করোনায় বা অন্য শ্বাসকষ্টতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের আর কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রামে যেতে হবে না। কক্সবাজারেই দেশের সর্বোচ্চ সেবা পাবে ইনশাআল্লাহ। এটির সঙ্গে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত হলে চিকিৎসা সেবা আরও অগ্রসর হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম
সর্বশেষ - দেশজুড়ে
- ১ ১৬ ডিসেম্বরের প্রত্যয়েই দেশ পুনর্নির্মাণের সুযোগ করে নিতে পেরেছি
- ২ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হত্যাচেষ্টার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই
- ৩ জাগো নিউজে সংবাদ প্রচারের পর নিজের ঠিকানা পেলেন বীরাঙ্গনা যোগমায়া
- ৪ হঠাৎ ফেসবুকে রাঙ্গার ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও
- ৫ শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের গ্রাফিতি মুছে আলপনা, সমালোচনায় তৎপর