বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ডুবে যাওয়া ডাম্প ফেরিটি অবশেষে উদ্ধার
অবশেষে মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ডুবে যাওয়া ডাম্প ফেরিটি তীরে টেনে তোলা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের সহযোগিতায় ডুবরিদল ও সেচযন্ত্রের সাহায্যে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধায় ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।
ডুবে যাওয়া ফেরিটির ওজন অনেক বেশি হওয়ায় ফেরিটি টেনে তুলতে অনেক বেশি সময় লেগেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার ও নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের যুগ্ন-পরিচালক এস এম আজগর আলী বলেন, ‘গত ৭ডিসেম্বর বাংলাবাজার ফেরিঘাটের কাছেই রাণীগঞ্জ ডাম্ব ফেরিটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে ৯ ডিসেম্বর বরিশাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছায় নির্ভীক। উদ্ধার প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শেষ করে আজ সোমবার বিকেল থেকে পুরোপুরি উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের সহায়তায় ডুবরিদল ও সেচ যন্ত্রের সাহায্যে রাত ৮টায় ফেরিটি সম্পূর্ণ টেনে উঠাতে সক্ষম হই। তবে ফেরিটির ওজন অনেক বেশি হওয়ায় টেনে তুলতে অনেক বেশি সময় লেগেছে এবং বেগ পেতে হয়েছে।’
গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার সময় সাতটি ট্রাক, পাঁচটি যাত্রীবোঝাই বাস ও সাতটি ছোট গাড়ি নিয়ে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় রাণীগঞ্জ ডাম্প ফেরি। ওই ফেরিতে যাত্রী ও কর্মীসহ চার শতাধিক মানুষ ছিলেন। রাত ১১টার দিকে ফেরিটি যখন পদ্মা সেতু সংলগ্ন হাজরা চ্যানেলের কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন সেতু স্থাপনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের পাইপের সঙ্গে প্রবল বেগে ধাক্কা খায়। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে ফেরির চালক ফজলুল করিম দেখতে পান, ফেরির তলা ফেটে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। তিনি দ্রুতগতিতে ঘাটের দিকে রওনা হন। তখনো ঘন কুয়াশা না পড়ায় ২০ মিনিটের মধ্যে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছে যায় ফেরিটি। ততক্ষণে ফেরির ওপরে পানি উঠতে শুরু করেছে।
ফজলুল করিম যাত্রীদের কিছুই বুঝতে দেননি। একে একে সব গাড়ি আনলোড করার পর তিনি ঘাটের উল্টো পাশেই ফেরিটি নোঙর করেন। বাংলাবাজার ঘাটের বিপরীতে সকালের দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ফেরিটি অনেক পুরাতন ছিল।
একেএম নাসির হক/এসআর/এমকেএইচ