গর্ভেই নষ্ট হলো সেই জিয়াসমিনের সন্তান
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভুল করে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টার চারদিন পর নষ্ট হয়ে গেল জিয়াসমিনের গর্ভের সন্তান।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আরশ্বাদ উল্লাহ।
জাগো নিউজকে তিনি জানান, শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত থেকেই জিয়াসমিনের আবারও রক্তরক্ষণ এবং তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। শনিবার বিকালে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জিয়াসমিন আক্তার। তার পাশের বেডে এক গর্ভবতীর মৃত সন্তান হওয়ায় তাকে গর্ভপাত ঘটানোর কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী ফাতেমা আক্তার ভুলক্রমে জিয়াসমিনকে গর্ভপাত ঘটনানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে গা ঢাকা দেন ফাতেমা আক্তার। পরে জিয়াসমিনের চাচা লুৎফর রহমান হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
জিয়াসমিনের গর্ভের সন্তানের বয়স পাঁচ মাস দাবি করা হলেও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ জানান, অল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ী সন্তানের বয়স হবে তিন মাস।
তিনি আরও জানান, জিয়াসমিন রক্তক্ষরণ ও তলপেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি হন। এ ধরনের কেসকে চিকিৎসকের ভাষায় বলা হয় থ্রেড অ্যান্ড অ্যাবরশন। তাই শুরু থেকেই তার সন্তান ঝুঁকিতে ছিল।
বি এম খোরশেদ/এএইচ/এমকেএইচ