নির্বাচনে আগ্রহ প্রকাশ করায় অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলা দেয়ার অভিযোগ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন বেলায়েত হোসেন তোতা। এজন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। তবে প্রার্থী হওয়ায় তাকে অ্যাসিড নিক্ষেপের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী খালেক সিকদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে বেলায়েত হোসেন তোতার বোন মোসা. সুখি সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার ভাই বেলায়েত হোসেন তোতা আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ শুরু করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন একই ওয়ার্ডের আরেক ইউপি সদস্য প্রার্থী খালেক সিকদার। খালেক সিকদার তার ভাইকে নির্বাচন না করার জন্য এক লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে মিথ্যা মামলার হুমকি দেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে খালেক সিকদারের মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নিকে অ্যাডিস নিক্ষেপের অভিযোগ এনে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় খালেক সিকদার উল্লেখ করেন, আমাদের এলাকার মিনা বাজারের ভিটার জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমার ভাই তার মেয়েকে অ্যাডিস নিক্ষেপ করেছেন। কিন্তু ওই বাজারে আমার ভাইতো দূরের কথা, আমাদের পরিবারের কোনো জমি নেই। মূলত খালেক সিকদারের বিপক্ষে আমার ভাই যাতে নির্বাচন না করে, সেজন্য এ মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।’
‘যদি সালমা আক্তার মুন্নির শরীরে কেউ অ্যাডিস নিক্ষেপ করত তাহলে তার মুখ ঝলসে যেত। কিন্তু এমন কিছু হয়নি। তার গালের এক পাশে ছোট একটি হালকা লাল দাগ রয়েছে।’
বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান ইউপি সদস্য প্রার্থী বেলায়েত হোসেন তোতার বোন মোসা. সুখি।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির মিঞা জানান, সালমা আক্তার মুন্নির গালে ছোট একটি দাগ রয়েছে। অ্যাডিস নিক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/এমকেএইচ