ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে ২২৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

জেলা প্রতিনিধি | জয়পুরহাট | প্রকাশিত: ০১:৪৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকার কথা থাকলেও জয়পুরহাটের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পার হতে চললেও ভাষা শহীদদের স্মরণে এসব প্রতিষ্ঠানে গড়ে ওঠেনি তেমন কোন স্থায়ী অবকাঠামো।

সরকারি তহবিলের অভাব ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে একুশে ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি পেলেও এর ইতিহাস জানতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের উদ্যোগে কলা গাছ, বাঁশ, কাঠ ও কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এছাড়া জেলা ও উপজেলা সদরের কিছু প্রতিষ্ঠানে মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালিত হলেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মাতৃভাষা দিবসের কোনো কর্মসূচি পালন করা হয় না।

জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় সরকারি-বেসরকারি সব মিলে ২১টি কলেজ, ২৩টি কারিগরি কলেজ, চারটি সরকারি স্কুল ও তিনটি সরকারি কলেজ, ১১১টি মাদরাসা, ১৫২টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। জেলায় সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৮২টি। এরমধ্যে ২২৮টিতে নেই কোনো শহীদ মিনার ও স্মৃতিস্তম্ভ।

জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আমজাদ হোসেন বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলো গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। সেখানে কেবল শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দিলেও দূরত্বের কারণে গ্রামের শিক্ষার্থীদের আসা সম্ভব হয় না। ফলে তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা নেয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার স্থাপন জরুরি।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবির জানান, কিছু কিছু বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার আছে। যেখানে নেই সেখানে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সর্ম্পকে ধারণা দেয়ার জন্য এসব শহীদ মিনার বানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে শতভাগ। তবে জেলার মধ্যে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত একটিমাত্র শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নেই কোনো শহীদ মিনার। এটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে নয়।

জেলা শিক্ষা অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আরাফাত হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমরা একটি তালিকা করে জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেছি। তারা পর্যায়ক্রমে যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেখানে তৈরি করে দেবে বলে আমরা আশা করছি।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, জেলার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে তারা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করবে বলে আশা করছি।

রাশেদুজ্জামান/এসজে/এমএস