মামলা করে বাড়িছাড়া মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী
জমির দখল ঠেকাতে আদালতে মামলা করে আসামিদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঝর্ণা বেগম (৫০) নামে এক নারী। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ বিবদমান সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগী ওই নারীর। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে। ঝর্ণা বেগম ওই গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাফ হোসেনের স্ত্রী।
জানা গেছে, উপজেলার ৯০নং ঘোনাপাড়া মৌজার ৩৪ শতাংশ জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জমির দাবিদার ঝর্ণা বেগম গত ১ মার্চ গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি সম্পত্তি নিয়ে মামলা করেন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই সম্পত্তিতে উভয়পক্ষের প্রবেশ, স্থাপনা নির্মাণসহ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাশিয়ানী থানাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্যা ওই জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার সম্পত্তিতে জোর করে প্রতিপক্ষ বাচ্চু মোল্যা ভবন নির্মাণ শুরু করে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে আদালতে মামলা করি। মামলায় ওই সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। এরপর থেকে বাদী ও বাদীর পরিবার আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ভয়ে আমি দুই সপ্তাহ ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী বেঁচে নেই। ছেলেরা চাকরি করে। আমি বাড়িতে একা থাকি। এ সুযোগে আমার জমি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে বাচ্চু মোল্যা ও তার পরিবার।
বাচ্চু মোল্যার ছেলে জাহিদুল ইসলাম হুমকি-ধামকির কথা অস্বীকার করে বলেন, সিমেন্ট নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, তাই কিছুটা কাজ করেছিলাম। পুলিশ এসে বন্ধ করায় আর কাজ করেনি।
কাশিয়ানী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার এএসআই পলক কুমার বারুরী বলেন, বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পুনরায় কাজ করলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ/জেআইএম