মাটি কাটার তালিকায় ভুয়া নাম, টাকা তোলেন নারী মেম্বার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতরের অধীনে অতিদরিদ্রদের জন্য মাটি কাটা কর্মসূচির তালিকায় ভুয়া শ্রমিকের নাম দিয়ে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী মেম্বারের বিরুদ্ধে। নিয়মিত হাজিরা না দিয়েও টাকা তোলেন একাধিক শ্রমিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের আওতায় আওলাই ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে ৪০ দিনের মাটি কাটার কর্মসূচির তালিকা তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ। আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্থার প্রকল্পে ২৫ জন শ্রমিকের নাম দিয়ে তালিকা তৈরি করেন প্রকল্পের সভাপতি ও নারী মেম্বার ফেন্সি আক্তার। এই টাকা অতিদরিদ্ররা প্রতিদিন ২০০ টাকা হিসেবে একেকজন আট হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা। কিন্তু তালিকায় জাবেকপুর গ্রামের রেজিয়া ও গোড়না গ্রামের এনামুল হক নামের দুই শ্রমিকের নাম দিয়ে টাকা উত্তোলন করা হলেও তারা কিছুই জানেন না বলে জানান।
জাবেকপুর গ্রামের নারী শ্রমিক রেজিয়া বেগম ও গোড়না গ্রামের শ্রমিক এনামুল হক বলেন, ‘গতবছর মাটি কাটার কাজ করেছি। তবে এ বছর যে তালিকায় আমাদের নাম আছে আমরা কিছুই জানি না। লোক মারফত জানতে পারলাম মাটি কাটার তালিকায় আমাদের ভুয়া নাম দিয়ে নারী মেম্বার টাকা তোলেন।’

জানতে চাইলে রাস্তা সংস্থার প্রকল্পের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী মেম্বার ফেন্সি আক্তার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। যারা অভিযোগ দিয়েছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু করছি।’
আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আপনাদের কাছে ব্যাপারটি শুনলাম। এ বিষয়ে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
পাঁচবিবি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুর-এ শেফা বলেন, ওই এলাকা থেকে মোবাইলে এক ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়েছেন। শোনার পর প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাশেদুজ্জামান/এসআর/জেআইএম