ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, একমাসেও শেষ হয়নি পুলিশের তদন্ত

জেলা প্রতিনিধি | জয়পুরহাট | প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ২৫ জুন ২০২১

জয়পুরহাটে যৌতুকের জন্য স্ত্রী রুমি আক্তারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রাসেলের বিরুদ্ধে। দগ্ধ রুমি বর্তমানে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

তবে ঘটনার একমাস পার হলেও শেষ হয়নি পুলিশের তদন্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা করলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

গত ২৮ মে শহরতলি পারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ১১ মাস আগে জয়পুরহাট শহর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন পারুলিয়া গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রাসেল হোসেনের বিয়ে হয় পাঁচবিবির রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে রুমি আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রুমিকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন রাসেলসহ তার পরিবার।

একপর্যায়ে ২৮ মে রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রুমির দেহে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন রাসেল। পরের দিন খবর পেলে রুমির মা-বাবা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল ও পরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে রুমিকে বগুড়া থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে তিনদিন পর তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।

এদিকে পরিবারের অভিযোগ, থানায় মামলার পরও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে জেলা আধুনিক হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের ৮৫ শতাংশেরও বেশি আগুনে পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এখানে কোনো বার্ন ইউনিট না থাকলেও আমরা আশা ছাড়িনি। রোগীকে সুস্থ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান বলেন, ‘এ ঘটনায় রাসেলকে আসামি করে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রাশেদুজ্জামান/এসএমএম/এএসএম