ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

চিকিৎসক আসতে বিলম্ব, প্রসব বেদনা সইতে না পেরে মারা গেলেন প্রসূতি

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ২৬ জুন ২০২১

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ জুন) সকালে জেলার শৈলকূপা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত প্রসূতির নাম বিউটি খাতুন (২৪)। তিনি শৈলকূপা পৌর এলাকার ঋষিপাড়ার দিনমজুর রিপনের স্ত্রী ও দেবীনগর গ্রামের আয়ুব আলীর মেয়ে।

রোগীর স্বজনরা জানান, প্রসূতি বিউটি খাতুনের শনিবার ভোরে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে এক নারী দালাল তাদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালের প্রধান ফটকে অবস্থিত শৈলকূপা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ বিউটির প্রসব বেদনা চরমে ওঠে। কিন্তু চিকিৎসক আসতে দেরি হওয়ায় নার্সরা তাকে স্যালাইন দেন এবং ইনজেকশন পুশ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিউটি যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মারা যান।

নিহতের স্বজনদের দাবি, শুক্রবার (২৫ জুন) বিউটির আল্ট্রাসনো করা হয়। রিপোর্টে তার পেটের ছেলেসন্তান সুস্থ আছে বলে জানানো হয়। স্বজনদের দাবি, ক্লিনিকের চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে ওই ক্লিনিকের ছয় মালিক ও ম্যানেজারসহ সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নিহতের স্বজনদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মামলা করতে দেয়নি বলে অভিযোগ। এমন খবরে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্লিনিকটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসীন আলী জানান, রোগীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। যৌথমালিকানায় গড়ে ওঠা ক্লিনিক মালিকদের একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট থাকায় দালালদের দৌরাত্ম্য রোধ করা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে হাসপাতাল চত্বর থেকে কোনো রোগীকে ভুলভাল বুঝিয়ে কেউ নিয়ে গেলে তাদের কিছু করার থাকে না।

তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসআর/এমকেএইচ