ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সবুজের মাঝে সাদা রঙের নাগবল্লী

জেলা প্রতিনিধি | মৌলভীবাজার | প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২১

সবুজের মাঝে হঠাৎ জেগে উঠেছে লাল ও সাদা রঙের এক ফুল। নাম তার আলস্কারিক গুল্ম মুসেন্ডা বা নাগবল্লী। তবে স্থানীয়রা একে বনফুল বা নাগফট বলে থাকেন। ফুলগুলোতে কোনো সুবাস না থাকলেও সবুজের মাঝে হঠাৎ সাদারঙের পত্রপল্লব কাড়ে পথচারীদের নজর।

জানা যায়, মৌলভীবাজারের বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে পাহাড় টিলা আর সবুজের সমারোহ। এ সবুজ বনেই সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয়ার জন্য মুসেন্ডা বা নাগবল্লী জন্মায়।

মুসেন্ডা বা নাগবল্লী (বৈজ্ঞানিক নাম: Mussaenda frondosa) রুবিয়েসি (Rubiaceae) পরিবারের মুসেন্ডা গণের লাল ও সাদা রঙের একটি আলস্কারিক গুল্ম। এর প্রচলিত ইংরেজী নাম ডোয়ার্ফ মুসেণ্ডা (Dwarf Mussaenda) বা ওয়াইট উইং (White Wing)। রোদ বা আংশিক ছায়ায় এ গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে। সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষায় এ ফুল ফোটে। বাগানের শোভা বর্ধনকারী হিসাবে পরিচিত এ উদ্ভিদ। এছাড়া বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রেও এর উল্লেখ দেখা যায় ।

নাগবল্লী বাংলাদেশ ও ভারতীয় প্রজাতির এক বুনোফুল। তবে ধারণা করা হয়, এর আদি নিবাস আফ্রিকায়। এদের দেশীয়করণ হয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন জায়গায়।

jagonews24

সাধারণত ঝোপের ভেতর ছোট আকৃতির এ চিরসবুজ গাছ দেখা যায়। সাধারণত এটি দুই-তিন ফুট উঁচু হয়। এর পাতার রঙ উজ্জ্বল সবুজ, এ পাতার উপর আবার সাদা সাদা পাতা রয়েছে আর থাকে প্রায় চার সেন্টিমিটার লম্বা একটি হলুদ রঙের ফুল। এক ঝোপে থাকে অনেক কয়েকটি ফুল।

মৌলভীবাজারের চা-বাগানের ঝোপঝাড়ে মে ও জুন মাসে মুসেন্ডা বা নাগবল্লী ফুটে। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় জেলার রাজনগর উপজেলার উদনা ছড়া, রাজনগর চা-বাগানের বাসিন্দা প্রদীপ যাদব, সুরুজ মিয়া, সিপন মিয়া ও পায়েল আহমেদের সঙ্গে। তারা বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা নাগফট ফুল বলি একে। বর্ষা মৌসুমে ফুলের সমারোহ কমে যায় চারদিকে। কিন্তু এ সময় নাগবল্লীতে সেজে উঠে প্রকৃতি। এ ফুলে ঘ্রাণ না থাকলেও দেখতে খুব সুন্দর। ফুল থেকে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে।

উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ মাথিউড়া চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ইবাদুল ইসলাম ও কৃষিবিদ শেখ আজিজুর রহমান জানান, নাগবল্লী উদ্ভিদ সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে তিন প্রজাতির নাগবল্লী দেখা যায়। মৌমাছি, প্রজাপতি ও পাখিদের জন্য উপকারি এ বনোফুল সংরক্ষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। সৌন্দর্যপ্রেমীরা নিজ বাগানে বৈচিত্র আনার জন্য নাগবল্লীর চারা সংগ্রহ করে রোপণ করতে পারেন। কলম ও বীজের মাধ্যমে এর বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে।

আব্দুল আজিজ/এসএমএম/এমকেএইচ