ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ফের বন্দি বিক্ষোভ-ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ০২:২৩ এএম, ১১ জুলাই ২০২১

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) বিক্ষুব্ধ বন্দিরা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তিন ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালিয়েছে। শনিবার রাত ১০টা থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত চলে এ বিক্ষোভ।

প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে রাত ১টার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বন্দিরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বন্দিরা শান্ত হয়।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেড়শ জনের ধারণ ক্ষমতার কেন্দ্রটিতে ২৫০ জন বন্দি রয়েছে। বেশ কিছু দাবিতে তাদের অসন্তোষ রয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দিরা বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার সেখান যান। আমি নিজেও গিয়েছিলাম। তাদের কথা শুনেছি। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি। তিন ঘণ্টা পর বিক্ষুব্ধ বন্দিদের শান্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেখানে ভাঙচুর হলেও কেউ আহত হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

এদিকে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘করোনাকালে কেন্দ্রের বন্দিদের বাইরে বের হতে দেয়া হয় না। এজন্য তাদের ক্ষোভ আছে। খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ আছে। এছাড়া সুপেয় পানির সমস্যা আছে। এমন বেশ কয়েকটি দাবিতে বন্দিরা বিক্ষোভ করেছে। আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।’

jagonews24

কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘বেশকিছু ধরে বন্দিরা দৈনিক জনপ্রতি ৭২ টাকা করে খাদ্যের জন্য বরাদ্দের দাবি তুলে আসছিল। তাছাড়া কেন্দ্রটিতে আলাদা আলাদা রুমে সিনিয়র-জুনিয়র ভেদে খাদ্য সরবরাহের ও সুযোগ-সুবিধার দাবি তুলেছিল। সেই দাবিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দিদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা বিক্ষোভ বন্ধে অভিযান চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোর জেলা পুলিশের শতাধিক সদস্য অভিযান চালান। পরে বন্দিদের ইটের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন।’

বন্দিরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথারীতি স্বেচ্ছাচারিতা এবং চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ করছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ পুরোপুরি ঠিক না।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন বন্দি কিশোরের মৃত্যু ও ১৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছিল। একাধিকার তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে কেন্দ্রে বার বার এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিলন রহমান/এমআরআর