ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

আমানত শাহ উদ্ধারে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

জেলা প্রতিনিধি | মানিকগঞ্জ | প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২১

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া আমানত শাহ ফেরি উদ্ধারে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজ। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে প্রতিষ্ঠানের তিনটি সেলভেইজ উইন্স বার্জ। বাকি তিনটি উইন্স বার্জ পৌঁছালেই ফেরিটি টেনে তোলার কাজ শুরু হবে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ফেরি উদ্ধারের প্রস্তুতি হিসেবে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুল ও র্যাম্প সরিয়ে ঘাট ফাঁকা করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হয় উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজাকেও। অপসারণ করা হয়েছে ড্রেজারের পাইপ।

জেনুইন এন্টারপ্রাইজের তিনটি উইন্স বার্জও তাদের পজিশন নিয়েছে। উদ্ধারের প্রস্তুতিমূলক নানা কাজ করতে দেখা গেছে জেনুইন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারীদের।

Feri-(3).jpg

ঘাট পরিষ্কারসহ আমানত শাহ ফেরিটি তোলার জন্য লোহার রশি দিয়ে বাঁধার পর ফেরি থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেকেই বিভিন্ন পাত্র, ডাম্ব ও নৌকায় করে সেই তেল সংগ্রহ করেন। পরে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদেরকে সরিয়ে দেন।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) মো. ফজলুল রহমান জানান, শনিবার সকাল পর্যন্ত জেনুইন এন্টারপ্রাইজের তিন উইন্স বার্জ পাটুরিয়ায় এসে পৌঁছেছে।পথে রয়েছে আরও তিনটি। মোট ৬টি উইন্স বার্জ উদ্ধারে অংশ নেবে।

তিনি আরও জানান, ঘাটের পন্টুলসহ অন্যান্য যানবাহনগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছে যাতে সলিং অপসারণ করার সময় কোনো অসুবিধা না হয়। সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি তিনটি উইন্স বার্জও কাছাকাছি চলে এসেছে। সেগুলো আসার পরই ফেরি উদ্ধারের মূল কাজ শুরু হবে।

Feri-(3).jpg

এদিকে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মজহারুল হক প্রধান।

তিনি জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটিও ঘটনার তদন্ত করছে। কে দায়ী আর কে দায়ী নয় তা তদন্ত শেষ না হলে বলা যাবে না। সব তদন্ত রিপোর্ট এক জায়গায় না করলে বিষয়টি অনুমান করা যাবে না। কারণ এখনো নৌযানটি উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার হলে বোঝা যাবে, ফেরির তলায় কোনো ফুটো আছে কিনা অথবা কিভাবে পানি ঢুকলো। তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট বের হলেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তার আগে এ বিষয়ে কেউ বলতে পারবে না।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/এমএস