ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মাছ বাজারটি এখন গলার কাঁটা

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২১

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মাছের বাজার। শহরের প্রাণকেন্দ্র অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা মাছ বাজরটি এখন শহরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনার প্রকোপ বাড়ার পর শহরের কালিবাড়ির মাছ বাজারটি সরিয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে স্থানান্তর করা হয় তার সঙ্গেই পাবলিক লাইব্রেরি, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব এবং মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই মাছ বাজারের রাস্তাটি ব্যবহার করে। এছাড়াও একটি বালিকা বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষেই বসে মাছের বাজারটি।

করোনার প্রকোপ কমার পর থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাজারের মাছ ব্যবসায়ী, এমনকি সাধারণ মানুষ বার বার জেলা প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিলেও বাজারটি সরিয়ে আগের অবস্থানে নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, মাছের বাজারটি স্থানান্তরের সময়ই আপত্তি জানানো হয়েছিল। কারণ এখানে মাছ বাজার বেমানান। তবে এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেওয়ার অনুরোধ করেছি।

jagonews24

মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল জানান, আমরা এখানে থাকতে চাই না। এখানে দোকান করে তেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। অবিক্রীত মাছ সংরক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। পানি ফেলার নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। তাই আগের স্থানে ফিরতে আবেদন করেছি। প্রশাসন অনুমিত দিলেই চলে যাবো।

ঠাকুরগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রশিদ জানান, শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসে। মাছের পানির দুর্গন্ধ তাদের জন্য কষ্টকর। সেই দুর্গন্ধ স্কুলের ভেতরেও আসে। তাই দ্রুতই বাজারটি সরানো উচিত।

ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, মাছ বাজরটি দেখতে যেমন খারাপ লাগছে। তেমনি মাছের পানির দুর্গন্ধে এ রাস্তা ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আমি একাধিকবার প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার হয়নি।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুব হোসেন জানান, করোনার কারণে বাজারটি অস্থায়ীভাবে সেখানে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই সমস্যার কথা জানিয়েছে। দ্রুতই বাজারটি সরিয়ে আগের স্থানে নেওয়া হবে।

তানভীর হাসান তানু/এএইচ/এএসএম