ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বন্ধ করে দেওয়ার পর ফের সচল বান্দরবানের ১৪ ইটভাটা

জেলা প্রতিনিধি | বান্দরবান | প্রকাশিত: ০৭:৫৮ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে জেলা প্রশাসনের বন্ধ ঘোষণার পর আবারও চালু হয়েছে ইটভাটার কার্যক্রম। ভাটা মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আগের মতো পাহাড় কেটে মাটি এবং জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার করে ভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সব অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম সাতদিনের মধ্যে বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে দাখিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান ও মামুনুর রশীদ। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইউএমবি, এসকেবি, এসবিডব্লিউ, এফএসি, ইবিএম, এমবিএম, এসবিএম, এমএমবি, পাইভএমবি, এমবিআই, এনআরবি, ইউএমবিসহ ১৪টি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন তারা।

বন্ধ করে দেওয়ার পর ফের সচল বান্দরবানের ১৪ ইটভাটা

এছাড়া প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারায় অনুমোতি বিহীন ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ওই ১৪টি ইটভাটার মালিককে সর্বমোট ১৬ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের বন্ধ ঘোষিত ইটভাটাগুলো অভিযানের পরদিন থেকে আবারও পুরোদমে ইট প্রস্তুত করে যাচ্ছে। ভাটা মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় এরা প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে আগের মতো পাহাড় কেটে মাটি ও জ্বালানি হিসেবে বনের কাঠ ব্যাবহার করে ইট উৎপাদন করে আসছে।

বন্ধ ঘোষণার পরও ইটভাটা চালু রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে লামা ফাইতং ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগের তৈরি কাঁচা ইটগুলো পুড়ানো হচ্ছে। নতুন করে কোনো ধরনের ইট তৈরি করা হচ্ছে না। কয়েক কোটি টাকা লোকসান থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞা মানতে পারছে কেউ।

বন্ধ করে দেওয়ার পর ফের সচল বান্দরবানের ১৪ ইটভাটা

এ বিষয়ে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জাগো নিউজকে বলেন, বান্দরবানে মোট ৬৩টি ইটভাটা রয়েছে। এর কোনোটিতেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ফলে সবকটি ইটভাটাই অবৈধ। আগামী সপ্তাহে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অলোচনা করে পুনরায় ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিবো।

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বন্ধ ঘোষণা করা ইটভাটাগুলো যেই পুনরায় চালু করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসজে/জেআইএম