ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দুর্গম এলাকার লোকজনকেও আধুনিক কানেকটিভিটির আওতায় আনা হবে: পলক

জেলা প্রতিনিধি | বান্দরবান | প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২২

দেশের প্রতিটি দুর্গম এলাকার লোকজনকেও প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আধুনিক কানেকটিভিটির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (৫ মার্চ) সকালে বান্দরবানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মমতা ও আন্তরিকতায় ডিজিটাল উন্নয়নের কল্যাণে দেশের প্রতিটি ইঞ্চি কণায় আধুনিক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে পাহাড়ের দুর্গম এলাকা থানচিতে বসেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে মাসিক ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করছে অনেক।

তিনি আরও বলেন, বান্দরবানে পার্বত্য মন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার পুরোদমে চালু হলে জেলার শিক্ষার্থীরা ফ্রিল্যান্সিং বা আইটি শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেই স্বাবলম্বী হতে পারবে।

পলক বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে প্রতিবছর লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান করতে পারবো। শিক্ষার্থীরা সনদমুখী, বিদেশ মুখী এবং ঢাকামুখী হবে না, বরং জেলায় বসেই প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

ban-2.jpg

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন- বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ ইমাম আলী, বান্দরবান ৬৯ পদাতিক রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সত্যহা পানজি ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলার সূয়ালক ইউনিয়নের হলুদিয়ায় বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকায় ৩ একর জায়গায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি নির্মাণ করা হবে।

নয়ন চক্রবর্তী/এসজে/এমএস