ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনাকে ঘৃণা জানাই: এমপি একরামুল
ছবি-সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আমি আপনাকে ঘৃণা জানাই। আপনি বিচার করতে জানেন না। নিজের ওয়াইফকে (স্ত্রী) যে ভাই (কাদের মির্জা) কটূক্তি করে; এসপি, ইউএনও, ওসিকে বলে কুলাঙ্গার, উনি কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী?’
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকালে ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের ওপেন হার্ট সার্জারির আগ মুহূর্তে একথা বলেন তিনি। এরপর তার বক্তব্যের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা প্রসঙ্গে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি তাকে (কাদের মির্জা) কন্ট্রোল করতে না পারলে আমাকে একটা দিনের জন্য দিন, আমি তাকে পিচঢালা রাস্তায় ছেঁছাই-ছেঁছাই (টেনে-হিঁচড়ে) আনবো। আপনার কারণে অনেকের মুখ বন্ধ। আমার মুখ বন্ধ প্রধানমন্ত্রীর কারণে। তবে ওবায়দুল কাদেরকে বলি, আপনি আওয়ামী লীগকে বাঁচান, নোয়াখালীর মানুষদের বাঁচান।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের রাজাকার ফ্যামিলির লোক বলার কারণে তিনি আমাকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বাদ দিয়েছেন। এখন উনার ভাই-ভাগিনারা যে বলছেন তিনি (ওবায়দুল কাদেরের) রাজাকার পরিবারের, তাতে তো কিছু হতে দেখি না।’
ওবায়দুল কাদেরের বাবা মরহুম মোশারেফ হোসেনের কারণে তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাদের মির্জা নিজ মুখে বলেন তার বাবা-জেঠা (চাচা) রাজাকার ছিল। তার জেঠা মানুষের গাভি-ঘর নিয়ে আসতেন (গরু চুরি ও ঘর ভেঙে আসবাবপত্র নিয়ে আসতেন)। এসব তো ফেসবুকেই ভাসতেছে।’
একরামুল করিম বলেন, ‘আমাকে বলা হয় (টেন্ডারের) ১০ পারসেন্ট (কমিশন) নিই। এসব তো আপনারাই ভাগ নেন। হিসাব নিয়ে দেখেন কাদের মির্জাকে আগে-পরে কত টাকা দিয়েছি। আর চাকরির তদবির তো আপনারাই (নেতারা) করেছেন। আমি সরল বিশ্বাসে সুপারিশ করেছি। এখন সবই আমি করেছি?’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি বেঁচে ফিরি তবে আবার দেখা হবে। না ফিরলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে কখনো বিশ্বাস করবেন না। নোয়াখালী পৌরসভার সোহেলকে আমি ধরে রাজনীতিতে রেখেছি। আর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনকে বলি, এমপি হবেন ভালো কথা তবে জনগনকে ভালোবাসতে শিখুন। আপনি মালেক উকিলের ভাতিজা। এ মালেক উকিল বঙ্গবন্ধুকে ফেরাউন বলতেও দ্বিধা করেননি। সেটাও মনে রাখবেন।’
একই লাইভে একরামুল করিম চৌধুরী তার পরিবার, ছেলেমেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্কে নানান কথা বলেন। সেই সঙ্গে তার অবর্তমানে ছেলে সাবাব চৌধুরীকে জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জিকেএস