ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পুলিশের উদ্ধার করা জমিতে থানা স্থাপনের দাবি

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২

ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীর শবদলে অন্যের দখল থেকে উদ্ধারকৃত এক একর জমিতে ভুল্লী থানা স্থাপনের আবদার তুলেছেন স্থানীয়রা।

২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উদ্ধার হওয়া জমির সীমানা নির্ধারণ করে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম। বর্তমানে তারের বেড়া দিয়ে সীমানা ঘেরাওয়ের কার্যক্রম চলছে। সেখানে কাজ দেখতে গেলেই স্থানীয়রা ওসির পেছন পেছন ঘুরছেন যেন সেখানেই করা হয় ভূল্লী থানা।

জমি উদ্ধারের পর থেকেই স্থানীয়দের কৌতুহল আর আবদার আরও নাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা জায়গাটির নাম দিয়েছেন থানা চত্বর। এখন থানা চত্বর বললেই এক নামে চেনেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় খতিবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে থানার জমি উদ্ধার হওয়ায় প্রত্যাশা করছি ভূল্লী থানা এখানেই করা হবে। আমরা স্থানীয়রা আগে অনিরপাদ ছিলাম। কিন্তু পুলিশ জমি উদ্ধারের পর আসা যাওয়া করাতে অনেক সাহস পাচ্ছি। তাই স্বপ্নের ভূল্লী থানা এখানেই নির্মাণ করা হবে এমন প্রত্যাশা করছি।

স্কুলছাত্র দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, এখানে আগে তেমন মানুষজন আসতোনা। এখন জমি উদ্ধার হওয়ার পর মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। এখানে একটি থানা হলে স্থানীয়রা আরও আনন্দিত হবে। এলাকাটিতে অনেক অপরাধ সংঘঠিত হয়। মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে গ্রামটি। আশা করি থানাটি এখানে হলে আর কোনো অপরাধী মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

জানা যায়, ১৯৮৯ সালে এলাকার জনগণের নিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষায় পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিচালক বরাবর তৎকালীন ১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী (ইদু) তার ব্যক্তিগত ১ একর জমি দান করেন। পরে কিছুসময় সেখান অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি বসানো হলেও উঠিয়ে নেওয়া হয়। একসময় জমিটি স্থানীয় মানুষের দখলে চলে যায়।

পুলিশের উদ্ধার করা জমিতে থানা স্থাপনের দাবি

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন স্থানীয় আজিজের দখলে ছিলো জমিটি। জমিতে তিনি বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করতেন। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় নূর ইসলাম (সদ্য সাবেক মেম্বার), রাজ্জাক, হাসেম আলী, জয়নাল, দুলু মিঞা সেই জমিটিতে ভবনসহ কিছু কার্যক্রম শুরু করে। তারা সকলে জাল দলিলের ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু জমিটি পুলিশের মালিকানায় থাকার বিষয়টি জানতো না জেলা পুলিশ।

সম্প্রতি গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পারেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম। এরপরই তিনি জমিটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। খুঁজে বের করেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমির দলিল।

ওসি তানভীরুল জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি জানতে পেরে আমি গোপনে তদন্ত শুরু করি। প্রয়োজনীয় সকল কাগজ বের করি। এরপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সদর থানার পুলিশসহ জমিটি উদ্ধার অভিযানে যাই। জমিটি এখন পুলিশের দখলে আছে। সেখানে বাংলাদেশ পুলিশের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এখানকার মানুষের দাবি এখানে থানা স্থাপন করা হোক। আমি সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারি না। তবে এটুকু বলতে পারি এখানে পুলিশেরই কোনো স্থাপনা করা হবে।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এলাকাটি থানা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ভূল্লী এলাকাটি শিগগিরই ঠাকুরগাঁও জেলাধীন থানা ঘোষণা হতে পারে। উদ্ধারকৃত জায়গাটি যথাযোগ্য হলে সরকারের অনেক টাকা বেঁচে যাবে।

তানভীর হাসান তানু/এফএ/জেআইএম