ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার একঘণ্টা পর কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
কিশোর সুমন আহম্মেদ
মাদারীপুরের শিবচরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার এক ঘণ্টা পর সুমন আহম্মেদ (১৭) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সাহেব বাজারের একটি ইলেকট্রনিক্স দোকান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই দোকানের কর্মচারী ছিল এবং ইউনিয়নের ফজলুল করিম ব্যাপারী কান্দি গ্রামের আলেপ চৌকদারের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে কিশোর সুমন আহম্মেদকে তার বাবা আলেপ চৌকদার সকালে শাসন করেন। পরবর্তীতে বাবার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি থেকে দোকানে চলে যায়। দুপুর ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় সে।
এতে সুমন লিখে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কোনো মেয়ে দায়ী না, আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি তাহলে সবাই ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ হাফেজ।’
বন্ধুদের মাধ্যমে স্ট্যাটাসের কথা জানতে পেরে সুমনকে খুঁজতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। পরে কুতুবপুরের সাহেব বাজারের লাবিব ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে গিয়ে তাকে ফ্যানের সঙ্গে গলা দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন তারা। খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিবচর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোর সুমনকে তার বাবা শাসন করে। বাবার সঙ্গে অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একে এম নাসিরুল হক/এসজে/জিকেএস