জয়পুরহাটে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২৫ জন

মাত্র ১২০ টাকা করে খরচে স্বপ্ন পূরণ হলো জয়পুরহাটের ২৫ তরুণ-তরুণীর। কোনো ঘুস বা তদবির ছাড়াই পুলিশে চাকরি হয়েছে তাদের। মূল্যায়ন হয়েছে মেধা ও যোগ্যতার।

তাদেরই একজন- মুদি দোকানের কর্মচারীর মেয়ে লাবনী রানী সাহা। জানতে পারেন পুলিশে চাকরি পেতে টাকা লাগে না। পরে আবেদন ফরম পূরণ করে লাইনে দাঁড়ালে বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হন।

শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণার পর আনন্দে কেঁদে ফেলেন এ তরুণী। পাশে এসে দাঁড়ান বাবা লিটন চন্দ্র সাহা। লাবনীর বাড়ি জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাস্তাবসন্তপুর গ্রামে।

লিটন চন্দ্র সাহা বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন আজ। বিনা পয়সায় আমার মেয়ের চাকরি হইছে। টাকা ছাড়া চাকরি হয়, এটি আজই দেখলাম।

জয়পুরহাট সরকারি শিশু পরিবারে বেড়ে উঠেছেন এতিম আল আমিন। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়েছে তার। নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আল আমিন। লাবনী ও আল আমিনের মতো ২৫ জন তরুণ-তরুণী কেবল মেধা ও যোগ্যতায় মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।

শনিবার রাতে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন্সে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।

তিনি বলেন, জয়পুরহাট জেলায় ২৫ জন কনস্টেবল পদে নিয়োগে পেলো। ২২ ও ২৩ মার্চ ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে যাচাই-বাছায়ের পর শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করে ২৯৬ জন প্রার্থী। গত ২৯ মার্চ তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৬৮ জন। আর শনিবার মৌখিক পরীক্ষায় পাস করে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয় ৩১ জন। যাদের মধ্যে ওইদিনই নিয়োগ দেওয়া হয় ২৫ জনকে। আর অপেক্ষমাণ আছেন ছয়জন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইজিপি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এ নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমরা পেশাদারত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।

রাশেদুজ্জামান/এমআরআর/জেআইএম