মেম্বারদের মারধরের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের (মেম্বার) শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. নাজমুল হাওলাদার সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করে ১১ সদস্য গত ১৬ মার্চ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অনাস্থা প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও অভিযোগকারী মেম্বারদের তার অফিসে ডাকেন। ৭ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনওর কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক ৩ নারী সদস্যের শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও ৮ সাধারণ সদস্যকে মারধর করেন। হামলায় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কদম আলীসহ সবাই কমবেশি আহত হন।
আহতরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে হামলাকারীরা তাদের চিকিৎসা নিতে দেন নি। পরে তারা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন।
ভুক্তভোগী মেম্বারদের অভিযোগ, এ ঘটনায় তারা নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, মেম্বারদের দেওয়া একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবলু জাগো নিউজকে বলেন, বিরোধী চক্রের ইন্ধনে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। ঘটনার দিন আমি নাজিরপুরেই যাইনি।
চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। তিনি গত ২০০৭ সালে চেয়ারম্যান থাকাকালে ত্রাণের মালামাল চুরির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় ঢাকা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।
এসজে/এএসএম