ঝিনাইদহে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু
আলতাফ বিশ্বাস
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষে আলতাফ বিশ্বাস (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত আলতাফ উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের বেড়-বিন্নি গ্রামের মৃত নকিম বিশ্বাসের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছি। এরই জেরে কয়েকদিন আগে বেড়-বিন্নি বাজারে বকুল নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। এর জেরে রোববার সকালে উভয়পক্ষের সমর্থকরা শেখপাড়া বাজারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে আলতাফ বিশ্বাস সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাকিদের মধ্যে মিলন বিশ্বাস ও নাজমুল বিশ্বাসকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নুর নাহার বেগম বলেন, ‘আলতাফ বিশ্বাস কৃষি কাজ করতো। সে কোনো রাজনীতি করে বেড়াতো না। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের সমর্থক ছিল। বিনা দোষে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রিজওয়ানা জাগো নিউজকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে তিনজনের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে আলতাফ বিশ্বাসের মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই সঠিক মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
হরিনাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুহুল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসজে/জিকেএস