পাকা রাস্তা নয় যেন বোরো রোপণের জমি
একটু বৃষ্টিতে নাটোরের বিভিন্ন রাস্তায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়
দেখে বোঝার উপায় নেই এটা পিচঢালা কোনো পাকা রাস্তা। পুরো রাস্তায় কাদার ছড়াছড়ি। হেঁটে চলারও উপায় নেই। পিছলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাটোরের বিভিন্ন রাস্তায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোরবেলার বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা বলছেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুরের মাটি বহনকারী ট্রাক নিয়ে রাস্তার এমন হাল হয়েছে।
একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলছে। ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে অনেক সময় রাস্তায় প্রতীকী ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি।

সরেজমিন দেখা গেছে, নাটোরের নলডাঙ্গার পাটুল পশ্চিমপাড়া, আঁচড়াখালী, পিপরুল, বাসুদেবপুর ও জামতৈলের বিভিন্ন রাস্তায় কাদা জমে আছে। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের হাজিরহাট থেকে কাছিকাটা বিশ্বরোড মোড়, কাছিকাটা থেকে চাঁচকৈড়, আনন্দনগর থেকে খুবজিপুরসহ উপজেলার কমপক্ষে ১০টি সড়কেও এমন অবস্থা দেখা যায়।
গুরুদাসপুরের কাছিকাটা সড়কের পাশের কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাস্তায় পাঁয়ে হেটে চলাও সম্ভব হচ্ছে না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।’
রাস্তায় চলাচলকারী ট্রাকচালক আব্দুস সোবহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাস্তায় কাদার জন্য খুব ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, যেসব রাস্তায় মাটি পড়ে কাদা হয়ে আছে সেগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে লালপুরের গৌরিপুর রাস্তার চামটিয়া এলাকার রাস্তায়ও এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। বড়াইগ্রামের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাগাতিপাড়ার আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা।
এলজিইডির নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তা প্রস্তুত ও মেরামতের কাজটা আমরা করি। অন্য কোনো কারণে জনদুর্ভোগ হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের।
রেজাউল করিম রেজা/এসআর/জিকেএস