নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার
ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা
নীলফামারীর বিপণিবিতারগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মানুষ। একই সঙ্গে ব্যস্ত দোকানিরাও। পরিবারের সদস্যদের পছন্দের পোশাক কিনে দিতে দোকানে দোকানে ছুটছেন অনেকে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। দিন যত যাচ্ছে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে বলে জানান দোকানিরা।
শহরের বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে যেন দম ফেলার সুযোগ নেই ব্যবসায়ীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। ভিড় সামাল দিতে কখনো কখনো হিমশিম খেতে হয় দোকানি-কর্মচারীদের। বেশিরভাগ মানুষ দোকানে বা দোকানের সামনে ইফতার করতে দেখা গেছে।
ঈদে তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবি ও কাবলি। শহরের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে দেখা যায় অনেককে।
শহরের নীল ফ্যাশনে পাঞ্জাবি কিনতে আসা আদিব জানান, বন্ধুদের সবাই পাঞ্জাবি ও পায়জামা কিনছেন। পাঞ্জাবির পাশাপাশি তরুণদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে জিন্স ও প্রিন্টের শার্ট। পুষ্পা ডিজাইনের শার্টগুলো তরুণদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।

পিয়াল নামের আরেক যুবক জানান, কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়লেও নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি এবার ততোটা আসেনি। ডিজাইন পছন্দ না হওয়ায় হাফ শার্ট কিনতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রাকিব নামের এক দোকানদার জানান, ঈদে ইন্ডিয়ান জর্জেট, ডায়মন্ড, কাঁচাবাদাম, লেহেঙ্গা, পাকিস্তানি শাড়ি, খুবসুরত, পাকিস্তানি কটিসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক রয়েছে। এসব পোশাক দেড় হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ছোটদের স্কার্টের জনপ্রিয়তাও রয়েছে তুঙ্গে।
আশরাতুন রাহার নামে এক ক্রেতা জানান, তিনঘণ্টা চেষ্টার পর পছন্দের পোশাক কিনতে পেরেছি। বাড়ির সবার জন্য ঈদের পোশাক কেনা হয়েছে। বড়দের চাইতে ছোটদের পোশাকের দাম প্রায় দ্বিগুণ।
সৈয়দপুর প্লাজায় কাপড় কিনতে আসা তানিয়া রহমান জানান, প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে পছন্দের পোশাক পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে। গতবারের তুলনায় ডিজাইনে ভিন্নতা রয়েছে। তবে দাম এবার অনেক বেড়ে গেছে।

নীল ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক আবুল হাতেম জানান, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। তাদের কথা মাথায় রেখে আমারা পোশাক এনেছি। এখানে বিভিন্ন ব্রান্ডের নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক রয়েছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের সিল্ক, বেনারসি, কাতান, পার্টি ড্রেস, বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা ও পুরুষের জিন্স প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। ডিজাইন ও রকমভেদে একেকটার দাম একেক রকম। বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। ঈদের আগে এটি আরও বাড়বে বলে দাবি তার।
বিসমিল্লাহ গার্মেন্টসের আতাউল্লাহ জানান, করোনার কারণে দুই বছর ঈদে তেমন কেনাবেচা হয়নি। এবার রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি বেড়েছে। আশা করছি এ ঈদে কেনাবেচা অনেক ভালো হবে।
আরএইচ/এএসএম