জামালপুরে অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
আদনান শাকিল
জামালপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় আদনান শাকিল (২৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অন্য ধারায় তাকে আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি জুমান তালুকদার ও সবুজ মিয়াকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদনান শাকিল বকশীগঞ্জ উপজেলার চর কাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আকরাম হোসেন বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আদনান উত্যক্ত করতো। ২০২০ সালের ৩ মার্চ সকালে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকায় যাওয়ার পথে আদনান শাকিলসহ কয়েকজন যুবক তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার ছয়দিন পর ৯ মার্চ ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণকারী আদনান শাকিলকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে কুড়িগ্রাম থেকে আসামি আদনান শাকিলকে গ্রেফতার ও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
অ্যাডভোকেট আকরাম আরও বলেন, মামলাটিতে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আসামি আদনান শাকিলের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৭ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। উভয় সাজা একইসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। মামলাটির অপর আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে জুমান তালুকদার ও সবুজ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেন বিচারক।
মো. নাসিম উদ্দিন/এমআরআর/জেআইএম