ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বান্দরবানে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই

জেলা প্রতিনিধি | বান্দরবান | প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ১৮ জুন ২০২২

বান্দরবানে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ডায়রিয়ায় কারও মৃত্যু হয়নি। এর আগে গত ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।

শনিবার (১৮ জুন) বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. নিহারঞ্জন নন্দী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বান্দরবানের অতিদুর্গম থানচি উপজেলার রেমাক্রি ও আন্ধারমানিকে বসবাসকারীদের একমাত্র পানির উৎস ঝিরি ও ঝরণা। বর্ষার পানিতে বিভিন্ন জীবাণু মিশে পানির এই উৎসগুলো দুষিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি ও সচেতনতার অভাবে এই পানি পান করার ফলে ওই এলাকার লোকজন ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ১১ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে থানচিতে ৯ ও আলীকদমে একজনের মৃত্যু হয়। তবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডায়রিয়ায় কারও মৃত্যু হয়নি।

jagonews24

বান্দরবানের সিভিল সার্জন আরও বলেন, জেলায় অর্ধশতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন। তবে তারা আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ।

রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুশৈথুই মারমা বলেন, দুর্গম এলাকার লোকজন ঝিরি ও ঝর্ণার দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে দ্রুত অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন ও মেডিকেল টিম চিকিৎসা দেওয়ায় রেমাক্রি এবং আন্ধারমানিক এলাকার ডায়রিয়া আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জাগো নিউজকে বলেন, রেমাক্রী এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা অপরিশোধিত পানি পান করছে। যার কারণে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। ওইসব এলাকায় ওষুধ, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে। বড়মদকের ক্রাইলং পাড়ায় একটি অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করে আন্ধারমানিক ও বড়মদক এলাকার ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রেমাক্রি এলাকায় ও অন্য একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। এতে ডায়রিয়া পরিস্থিতি আনেকটা উন্নতি হয়েছে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। তবে ক্রাইলং পাড়ায় নতুন চারজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে শুনেছি।

নয়ন চক্রবর্তী/এমআরআর/এএসএম