ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ধুঁকছে দেশের একমাত্র শূকর উন্নয়ন খামার

জেলা প্রতিনিধি | রাঙ্গামাটি | প্রকাশিত: ০৩:১৪ পিএম, ২২ জুন ২০২২

জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের একমাত্র শূকর উন্নয়ন খামার। জনবল থাকার জন্য নেই কোনো কোয়ার্টার। একটি মাত্র কোয়ার্টার থাকলেও বর্তমানে তা জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

দেশের একমাত্র শূকর উন্নয়ন খামার রাঙ্গামাটির সদরের মানিকছড়িতে। প্রায় পাঁচ একর জায়গা নিয়ে ১৯৮১ সালে খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে মূল কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৮৪ সালে।

jagonews24

খামার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশি প্রজাতির শূকর দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে খামারে বিভিন্ন জাতের ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪৩৭ শূকর রয়েছে। এরমধ্যে লার্জ ব্ল্যাক, লার্জ হোয়াইট, হেমসায়ার, অক্সফোর্ড স্যান্ডি অ্যান্ড ব্ল্যাক জাতের শুকর রয়েছে। তবে এগুলো প্রায় ক্রস ব্রিড। পাঁচ একর জায়গায় তিনটি শেডের মধ্যে খামারটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের একমাত্র শূকর উন্নয়ন খামার হলেও এখানে রয়েছে লোকবল সংকট। জনবল থাকার জন্য কোনো কোয়ার্টার নেই। একটি কোয়ার্টার থাকলেও সেটির অবস্থা জরাজীর্ণ।

jagonews24

সুযোগ না থাকায় অন্যান্য উন্নতমানের শূকর এনে খামার উন্নয়নে কাজ করা যাচ্ছে না। ১৯৮১ সালে তৈরি শেডের মধ্যেই চলছে খামার পরিচালনা। দীর্ঘ বছর পার হলেও করা হয়নি নতুন বা আধুনিক কোনো শেড।

খামারটিতে ১৩টি জনবলের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আটজন। এপিও একজন, শূকর রক্ষক তিনজন ও নাইট গার্ডের পদটি শূন্য রয়েছে।

jagonews24

খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ কুসুম চাকমা জানান, খামারে জনবল সংকট রয়েছে। বর্তমানে যারা রয়েছেন তাদের থাকারও কোনো পরিবেশ নেই। চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের জন্য একটি কোয়ার্টার রয়েছে। তবে সেটিও জরাজীর্ণ।

কুসুম চাকমা জাগো নিউজকে বলেন, পুরোনো তিনটি শেডের মধ্যেই খামার পরিচালনা করতে হচ্ছে। আধুনিক দেশের মতো যদি আমাদের এখানেও আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত শেড তৈরি করা যায় তাহলে কাজ করতে আরও সুবিধা হবে।

jagonews24

তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন আর তেমন কোনো খামার নেই। অনেকে ব্যক্তিগতভাবে শূকর পালন করেন। তবে খামার নেই। আমাদের একটি প্রকল্প দেওয়া আছে। সেটি কোন অবস্থায় আছে তা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অর্থনীতি শাখা থেকে জানা যাবে। যদি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় তবে আমাদের শূকর খামারটি আরও উন্নত এবং বিভিন্ন জাতের শূকর দিয়ে খামার পরিচালনা করা সম্ভব হবে। অন্য দুই পার্বত্য জেলায়ও কাজ করার সুযোগ হবে।’

এসআর/এএইচ/জিকেএস