ঈদের ছুটিতেও পর্যটকের দেখা নেই মৌলভীবাজারে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সিলেটের বন্যার প্রভাব দেখা গেছে। ঈদের ছুটিতে জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র স্থানীয় দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকলেও বাইরের ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরতে আসেননি। এতে রিসোর্ট ও কটেজ ব্যবসায় ধস নেমেছে।
স্থানীয় হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহামারি করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তাদের ব্যবসায় বড় ধরনের ধস নেমেছিল। চলতি বছরের ঈদুল ফিতরে মন্দাভাব কেটে গিয়ে অনেকটা আশা জেগে ছিল। কিন্তু ঈদুল আজহায় সিলেটে বন্যার কারণে বাইরের পর্যটকরা আসেননি। যারা ঘোরাঘুরি করছেন তাদের ৯০ ভাগ স্থানীয় দর্শনার্থী। জেলার শতাধিক হোটেল-রিসোর্টের মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, রাধানগরের চাওমিং রিসোর্ট, মাধবীলতা রিসোর্ট, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, বধ্যভূমি-৭১, সাত লেয়ারের চা, বাইক্কা বিল হাইল হাওর, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হামহাম জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে। তবে এদের মধ্যে ৯০ শতাংশই স্থানীয়।

কথা হয় শ্রীমঙ্গল রাধানগরের চাওমিং রিসোর্টের সত্ত্বাধিকারী শামছুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সিলেটে বন্যার প্রভাবে বাইরের পর্যটকরা তেমন আসেননি। তাই জেলার রিসোর্ট, কটেজ ও হোটেল-মোটেলে ৮ থেকে ১০ শতাংশ সিট বুকিং হয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে।
একই এলাকার মাধবীলতা রিসোর্টের ম্যানেজার ইমরান আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকরা আসেন। তারা একসঙ্গে মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখে যান। বন্যার কারণে তারা আসেননি। ঈদের চতুর্থদিনেও পর্যটকদের দেখা নেই। তাই ধস নেমেছে পর্যটনখাতে। এতে আমাদের রিসোর্ট পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গেলে কথা হয় বিট বন কর্মকর্তা আনিসুল হকের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের তৃতীয়দিন পর্যন্ত দেশ-বিদেশের প্রায় ২ হাজার ৭০০ পর্যটক এসেছেন। অন্যান্য ঈদের সময় এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি হয়ে থাকে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বাইরের পর্যটকরা কম এসেছেন। তবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে।
আব্দুল আজিজ/এমআরআর/জেআইএম